ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ২৪০ জন নিখোঁজ, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৬, ৩০ নভেম্বর ২০২১

সচিবালয়ে আয়োজিত সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে আয়োজিত সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশে আসা ২৪০ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘গত এক মাসে ২৪০ জন আফ্রিকা থেকে এসেছেন। এখন তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, ফোনও বন্ধ।’

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন রোধে করণীয় নির্ধারণী সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। 

পরে স্থানীয় প্রতিনিধিদের জানানোর পর কয়েকজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সেইসঙ্গে বিদেশ থেকে যারা দেশে এসেছেন তারা সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন কিনা- তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন স্থানীয় প্রতিনিধিদের।

বিদেশ থেকে আসা লোকজনকে তদারকির জন্য জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের করোনা প্রতিরোধ কমিটিগুলোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজন হলে তারা বাড়িতে পতাকা লাগিয়ে দেবে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় আমাদের দেশে ২৪০ জন লোক আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত এক মাসে। তাদের আমরা কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আফসোসের বিষয় তারা সবাই মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে। তাদের খুঁজে বের করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলতে হয়েছে।

তিনি বলেন, তারা ঠিাকানাটাও ভুল দিয়েছেন। কাজেই এ ধরনেরও কাজ হয়। আমাদের এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।

সেইসঙ্গে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়েছে এমন দেশগুলো থেকে আগতদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসঙ্গে, সশস্ত্র বাহিনী কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত থাকবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এদিকে, ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’-এর পর সরকার এবার ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ ক্যাম্পেইন চালুর কথা ভাবছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, জনগণকে টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করতে প্রতিটি সরকারি দফতরে ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ ক্যাম্পেইন চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। এটি করতে পারলে টিকার কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।’ বিষয়টি এখন চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, দেশে ইতোমধ্যেই ১০ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ প্রায় ছয় কোটি ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে প্রায় চার কোটির কাছাকাছি।

দেশে শিক্ষার্থী ও বস্তিবাসীদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব পর্যায়েই টিকা দেয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারপরও দেখা যাচ্ছে, এখনও অনেকে টিকা নেননি এবং তাদের টিকা নেয়ার আগ্রহও কম।

শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকায় যে পর্যায়ে আশা করেছিলাম সে পর্যায়ে যেতে পারিনি। ৭-৮ লাখ টিকা দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম আরও বেশি দেয়া হবে। চেষ্টা করছি যাতে এটা বাড়ানো যায়। এখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবরা ছিলেন, তাদের বলেছি যে আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করুন।’

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি