ঢাকা, রবিবার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বোট ক্লাব মামলায় পরীমণির আপত্তি নাকচ, আসামি তিনজনই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৩, ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ঢাকা বোট ক্লাবে মারধর ও যৌন হয়রানির অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলায় উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছে আদালত।

পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে মামলার এজাহারের ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ আসামিদের নাম না আসায় পরীমনি যে আপত্তি জানিয়েছিলেন, তা নাকচ করে দিয়েছেন বিচারক।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন সোমবার এ আদেশ দেন।

তিন আসামির মধ্যে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি এ মামলায় জামিনে রয়েছেন। অপর আসামি শহিদুল আলম পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাকে গ্রেপ্তার করা গেল কি না, আগামী ৩ মার্চ সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সেখানে উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহিদুল আলমকে আসামি করা হয়।

এরপর মামলাটি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য হাকিম আদালত থেকে পাঠানো হয় ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। গত ১ ডিসেম্বর সেখানে হাজির হয়ে অভিযোগপত্র নিয়ে আপত্তি জানান মামলার বাদী পরীমনি।  

তার নারাজি আবেদনে বলা হয়, তদন্ত কর্মকর্তা ‘ইচ্ছে করে’ অজ্ঞাতনামা আসামিদের কথা অভিযোগপত্রে আনেননি। তবে তার সেই আপত্তি আদালত আমলে নেয়নি।  

আবাসন ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ঢাকার পাশের বিরুলিয়ায় তুরাগ তীরে ওই ক্লাবে গত ৮ জুন পরীমনি হেনস্তা হওয়ার অভিযোগ তোলার পর তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।

১৩ জুন রাতে পরীমনি এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, “আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”

পোস্টটি দেওয়ার ঘণ্টা খানেক পর গুলশানে নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন এই চিত্রনায়িকা। পরদিন ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলায় পরীমনির অভিযোগ, ৮ জুন রাতে তাকে ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ‘ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা’ করা হয়। নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে সেখানে আসামি করা হয়।

মামলা হওয়ার পর রাজধানীর উত্তরার এক নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে ব্যবসায়ী নাসিরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

এদিকে গত ৪ অগাস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার করে র্যাাব। ওই মামলায় গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে ছাড়া পান। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে ওই মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি।

এসবি 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি