বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সংস্কৃতি সমীচীন নয়: মাহবুব তালুকদার
প্রকাশিত : ১৭:৪৮, ২১ ডিসেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৭:৪৯, ২১ ডিসেম্বর ২০২১
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের সংস্কৃতি গড়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন উৎসাহিত করা সমীচীন নয়।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন (চতুর্থ ধাপ) বিষয়ক আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘একটা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, ৩৬০ জন চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, পত্রিকামতে। আর ১ হাজার ৬০০ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন অন্যান্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এমন একটা সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোতে এই যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনকে উৎসাহিত করা, এটা বোধ হয় সম্ভব নয়। সমীচীনও নয়।’
মাহবুব তালুকদার মনে করেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিবর্তন করলে এ অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। ভবিষ্যতে যারা নির্বাচন কমিশনে কাজ করবেন, তারা এ ব্যাপারে অবশ্যই ভেবে দেখবেন বলে আশা করেন তিনি।
সভার আলোচনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচন করার ব্যাপারে অসুবিধা এবং এ পর্যন্ত যে নির্বাচন হয়েছে, তার চেয়ে কীভাবে আরও ভালো নির্বাচন করা যায়, তা নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে সর্বত্র ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আরও সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছি।’
মাহবুব তালুকদার জানান, এ নির্বাচন কমিশনের আয়ুষ্কাল আর মাত্র ৫৫ দিন। তার আগে তারা তাদের দায়িত্ব সুসম্পন্ন করতে চান। তিনি বলেন, ‘বাংলায় প্রবাদ আছে, যার শেষ ভালো, তার সব ভালো। কাজেই এই শেষ ভালোটাকে আমরা সব ভালোর মধ্যে নিয়ে আসতে চাই।’
মঙ্গলবারের সভায় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিরবীজি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামন, নগর পুলিশের কমিশনার সালেহ মো. তানভীর উপস্থিত ছিলেন।
আরকে//
আরও পড়ুন