ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

‘বেকারত্ব সমাধানে প্রতি বিভাগে মেরিন একাডেমি চালু করা হবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৫, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বেকারত্ব সমস্যা দূর করতে দেশের প্রতিটি বিভাগে মেরিন একাডেমি চালু করা হবে বলেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ৫৬ ব্যাচ ক্যাডেটদের ‘মুজিববর্ষ গ্রাজুয়েশন প্যারেড’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ভয়াবহ করোনাকালেও দেশের অর্থনীতি সচল আছে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা কেউ আমাদের সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কোনও পদেক্ষেপ নেয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করে এবং সমুদ্রসীমার অধিকার অর্জিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রসীমার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরাট সম্ভাবনা আছে। সমুদ্রের সম্পদ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। মেরিন ক্যাডেটদের সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরা বাংলাদেশের দূত হিসেবে কাজ কর। তোমাদের সততা দক্ষতা পরবর্তী ক্যাডেটদের পাথেয় হয়ে থাকবে।

এসময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আশাকরি হাইটেক সমুদ্রগামী জাহাজ পরিচালনার কারিকুরাম মেরিন একাডেমি চালু করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে আসেন। তখন ছিল একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এই সময়ের মধ্যেই তিনি বাংলাদেশকে একটি স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেন।

তিনি বলেন, আমরা বাঙালিরা সবসময় বঞ্চিতই ছিলাম। কর্ণফুলী নদীর তীরে মার্কেন্টাইল মেরিন একাডেমি করাচিতে স্থানান্তর করা হয়। তখন বাংলাদেশে আর কোনো মেরিন একাডেমি ছিল না। জাতির পিতা বাহাত্তর সালে দেশে ফিরে এসে ডেভেলপমেন্ট অব মেরিন একাডেমি শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেন। এর মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে ৬০ একর জমি ছিল, জাতির পিতা আরও ৪০ একর জমি আরও যুক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে— জাতির পিতা যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং বাংলাদেশ জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা পায়। এর পরই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, আমার মা, তিন ভাইসহ আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরে আমরা আপনজনদের হারিয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিল তার সব সম্ভাবনাকে। বাংলাদেশের মানুষ যেমন শোষিত বঞ্চিত ছিল, আবার শোষণ-বঞ্চনার খপ্পরে পড়ে যায়। এটি হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্য। তখন যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় এসেছে, তারা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেনি। তারা দেশকে লুটপাট, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির স্বর্গে পরিণত করেন।
 
২১ বছর পর '৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করে আমরা বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিই। কম্পিউটার শিক্ষা, প্রযুক্তি শিক্ষা, মেরিক অ্যাকাডেমি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিই।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি