খায়রুজ্জামানকে দ্রুত ফেরত পাওয়ার আশা সরকারের
প্রকাশিত : ২০:১১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
মালয়েশিয়া সরকারের হাতে আটক সাবেক রাষ্ট্রদূত এম খায়রুজ্জামানকে দ্রুত ফেরত পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, মালয়েশিয়া সরকার এবং তাদের সাথে আমাদের যে সম্পর্ক সেটার উপরে ভিত্তি করে আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তাকে আমরা ফেরত পাব।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি। প্রায় ১৩ বছর ধরে আড়ালে থাকা সাবেক এই কূটনীতিককে গত বুধবার মালয়েশিয়ার আমপাং, সেলাঙ্গর এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করে সে দেশের পুলিশ।
জেল হত্যা মামলার আসামি ছিলেন এম খায়রুজ্জামান, তবে আদালত তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল।
বিএনপি-জামাত সরকারের সময় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পাওয়া সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাষ্ট্রদূত করে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাকে দেশে ফিরতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিপদ বুঝে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নিয়ে সেখানেই থেকে যান।
খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের খবর আসার পর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছিলেন, অভিবাসন আইন ভাঙায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোনো প্রবাসীর এমন অপরাধ পেলে তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে সরকার তাকে ফেরত আনবে বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী কার্ড নিয়ে ছিলেন। তার আইনজীবী সেই কার্ড দেখিয়ে বলেন, বৈধভাবে অবস্থান করায় তাকে ফেরত পাঠাতে পারে না সরকার।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, হোস্ট গভর্নমেন্ট কিন্তু এটাকে বাতিল করতে পারেন। তিনি কী আবেদন বা কিসের ভিত্তিতে সেখানে প্রথম পর্যায়ে থেকে গিয়েছিলেন, সেখানে ডেফিনিটলি অনেক ইনফরমেশন পাওয়া যাবে, যেগুলো বিভ্রান্তিকর অথবা ভুল বা ইচ্ছাকৃতভালো গোপন করা। এবং এখানেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমরা তাকে চিঠি দিয়ে দায়িত্ব শেষ হলে সাধারণত যা হয়, হেডকোয়ার্টারে ফেরত আসেন, সেটার জন্য বলা হয়েছিল, তিনি আসেননি।
আর্থিক অনিয়মের কারণে অনেক অডিট আপত্তি থাকলেও খায়রুজ্জামান সেগুলো মেটাননি বলেও অভিযোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ ধরনের অনেক কিছু আছে যেগুলি যথেষ্ট একটা লিগ্যাল প্রসেসকে স্ট্রেংদেন করার জন্য।
শাহরিয়ার আলম বলেন, সেখানে মালয়েশিয়া সরকারের কল যে, তারা সেখানে যাদেরকে থাকতে দিচ্ছেন এবং সে যদি আরেকটি দেশে ওয়ান্টেড হন, অপরাধীদেরকে একটি রিফিউজি স্ট্যাটাস দিয়ে রেখে দেওয়ার যুক্তি। এবং সেটা আমরা প্রয়োজন হলে ইউএনকেও জানাব এবং আমরা বিশ্বাস করি, তাদেরকে বোঝাতেও পারব। কারণ তার রিফিউজি স্ট্যাটাসের প্রয়োজন নেই।
এসি
আরও পড়ুন