ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড
প্রকাশিত : ২১:২৭, ১৯ মার্চ ২০২২
ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে সম্পর্ক আরো জোরদারে ৮ম অংশীদারিত্ব সংলাপে যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। তিনি শনিবার বিকেলেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও শ্রীলঙ্কাসহ ত্রিদেশীয় সফরের অংশ হিসেবেই নুল্যান্ড প্রথমে ঢাকায় এসেছেন। এদিন বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে বিমান বন্দরে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং নুল্যান্ড রোববার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নিজ নিজ পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন।
৯০ মিনিটব্যাপী “পার্টনারশিপ ডায়ালগ” বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব এবং মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে তাদের আলোচনার ফলাফল প্রকাশের জন্য একটি যৌথ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত হবেন।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতর এবং ঢাকায় মার্কিন কূটনীতিকরা বলেছেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম, মানবাধিকার ও শাসন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক হুমকিসমূহ, একটি মুক্ত এবং “ওপেন ইন্দো-প্যাসেফিক রিজন”সহ আঞ্চলিক ইস্যুসমূহ এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর বেশ কয়েকজন সিনিয়র অফিসারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে অংশীদারিত্বের এই রাউন্ডের সংলাপটি অতিরিক্ত গুরুত্ব পাচ্ছে।
অংশীদারিত্ব সংলাপের বৈঠকের সঙ্গে সম্পর্কিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা এই সংলাপে অবরোধের বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরবে এবং সন্ত্রাস দমন ও মাদক পাচার রোধে এই এলিট আইন প্রয়োগকারী ইউনিটের সাফল্য তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, যখনই র্যাবের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রমাণ ঢাকা এই বৈঠকে উপস্থাপন করবে।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সম্পর্কে ঢাকায় অবস্থানরত এক মার্কিন কূটনীতিক বলেছেন, সংলাপের সময় মানবাধিকার একটি অন্যতম ইস্যু হবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডিসিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংলাপের এজেন্ডা নির্ধারণে একসঙ্গে কাজ করেছে।
সপ্তম বাংলাদেশ-মার্কিন অংশীদারিত্ব সংলাপ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে বঙ্গোপসাগরে এটি মেরিটাইম ডোমেইন এ্যাওয়ারনেস, জলদস্যুতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমন্বয় বাড়াতে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা সহায়তা দেবে। -বাসস।
এনএস//
আরও পড়ুন