স্ত্রীর পাশে চিরনিদ্রায় সাহাবুদ্দিন আহমদ
প্রকাশিত : ১৫:০৭, ২০ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৫:০৯, ২০ মার্চ ২০২২
সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে বনানী কবরস্থানে স্ত্রী ও কন্যার পাশে সাহাবুদ্দিন আহমদকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের (৯২) দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম আবু সালেহ মো. সলিমউল্লাহ।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতির কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের জানাজার নামাজে বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
এসময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও সাহাবুদ্দীন আহমদের ছেলে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় সবার কাছে দোয়া চান। জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় বনানী কবরস্থানে। সেখানে স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
গতকাল শনিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) সাহাবুদ্দিন আহমদ মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছিল।
গতকাল শনিবার বিকেলে জন্মভিটা নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকূড়ায় নিজ গ্রামে সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৮ সালে ৮০ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে সাহাবুদ্দিন আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা আহমদ মারা যান। এ দম্পতির ৫ সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ড. সিতারা পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তাদের দুই ছেলে দেশেই থাকেন। দুই মেয়ের একজন যুক্তরাষ্ট্রে অন্যজন থাকেন যুক্তরাজ্যে।
১৯৯০ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৯৯৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি রাষ্ট্রপতি হন।
এসবি/
আরও পড়ুন