শুরু হচ্ছে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে গণশুনানি
প্রকাশিত : ০৯:০২, ২১ মার্চ ২০২২
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। সেই প্রস্তাবের ওপর শুরু হচ্ছে গণশুনানি।
সোমবার রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে গণশুনানি গ্রহণ করবে বিইআরসি। দিনের শুরুতে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হবে। এরপর কমিশন তাদের মূল্যায়ন রিপোর্ট পেশ করবে। এ শুনানি চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
সম্প্রতি বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। একচুলা ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আবাসিকে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারি গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটারের বিদ্যমান মূল্য ১২.৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭.৩৭ টাকা, সিএনজি প্রতি ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৬.০৪ টাকা, হোটেল-রেস্টুরেন্টে ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৯.৯৭ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭.০৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৭.০২ টাকা, ১০.৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩.২৪ টাকা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩.৮৫ টাকা থেকে ৩০.০৯ টাকা, চা শিল্পে ১০.৭০ টাকা বাড়িয়ে ২৩.২৪ টাকা করার প্রস্তাব করেছে।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় থাকা বিদ্যমান দর ৪.৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯.৬৬ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাড়তি বিদ্যমান গড় ৯.৩৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০.৩৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের পর পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি পর্যবেক্ষক দল তা যাচাই করে গণশুনানির সূচি নির্ধারণ করে। বিইআরসি আইন অনুযায়ী, গ্যাস খাতের অংশীজনের মধ্যে আগ্রহী প্রতিনিধিদের গণশুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে কমিশন। শুনানি শেষে ৯০ দিনের মধ্যে পর্যবেক্ষক দল তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
বিইআরসি যদি গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব গ্রহণ করে, তাহলে রান্নার জন্য দুই চুলার সংযোগ ব্যয় ৯৭৫ টাকা থেকে বেড়ে দুই হাজার ১০০ টাকা হবে। আর এক চুলার ব্যয় ৯২৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে দুই হাজার টাকা হবে।
এসএ/
আরও পড়ুন