অ্যাপে নয়, ওয়েবসাইটেই মিলবে ট্রেনের টিকিট
প্রকাশিত : ১৭:১৬, ২৪ মার্চ ২০২২

প্রতীকী ছবি
গত সোমবার (২১ মার্চ) থেকে বন্ধ রয়েছে ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি। বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তনের কারণেই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকার চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবারও রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। টিকিটের জন্য ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষারত যাত্রীরা। স্টেশন থেকেই সব টিকিট বিক্রি হওয়ায় চাপ বেড়েছে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও।
উভয় পক্ষের এই ভোগান্তি শুক্রবার (২৫ মার্চ) মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে বলেই জানা গেছে। কাউন্টার থেকে হাতে লেখা পুরনো পদ্ধতিতেই চলবে ট্রেনের টিকিট বিক্রি।
এরপর শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে পুন:রায় অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। তবে শুরুতে কেবল ওয়েবসাইট থেকেই সংগ্রহ করা যাবে টিকিট। থাকবে না কোনো মোবাইল অ্যাপ ব্যবস্থা।
জানা গেছে, রেলওয়ে টিকেটিং এর নতুন ওয়েবসাইট (www.eticket.railway.gov.bd) থেকে টিকিট সংগ্রহের জন্য প্রথমেই প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। নতুন এই ওয়েবসাইটে আগের পুরোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে লগ-ইন যাবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সহজ, সিনেসিস এবং ভিনসেন জেভি যৌথভাবে তৈরি করেছে এই টিকেটিং সিস্টেম। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি টিকেটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ‘সহজ’র সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের।
বাস-লঞ্চের টিকিট বিক্রির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ১৫ বছর ধরে ব্যবহৃত রেল টিকেটিং সিস্টেমের আদলে একটি সমমানের পদ্ধতি মাত্র ২১ কর্মদিবসে তৈরি করেছে সহজ। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমেই কাজটি পেয়েছে তারা। টিকিটের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সিস্টেম পরিচালনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও দিয়েছে সহজ।
এর আগে অবশ্য টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পালন করেছে সিএনএস নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
চুক্তি অনুযায়ী, সহজ, সিনেসিস এবং ভিনসেন জেভি প্রাথমিকভাবে চলমান সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি সচল রাখবে। তবে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি বিআরআইটিএস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মূলত ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকেটিং সিস্টেম চালু করে। সেই থেকে ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে কম্পিউটারের মাধ্যমে ৭৭টি স্টেশনে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ইস্যু করা হচ্ছে।
এখন দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। যার মধ্যে ৫০ শতাংশই অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট ইস্যু করা হচ্ছে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে।
এনএস//
আরও পড়ুন