বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গৌতম ঘোষের ‘কোলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ (ভিডিও
প্রকাশিত : ১২:১০, ৬ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১২:৪০, ৬ এপ্রিল ২০২২
পশ্চিমবঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্তাল সময়ের স্বাক্ষী মৌলানা আজাদ কলেজ, বেকার হোস্টেল আর ইসলামিয়া কলেজসহ কলকাতার রাজপথ। শিক্ষা থেকে রাজনৈতিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর সরব পদচারণার সে সময়কাল সেলুলয়েডে উঠে আসছে ‘কোলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ তথ্যচিত্রে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির মহাজীবনের একফালি গল্প ফ্রেমে তুলে আনবেন গৌতম ঘোষ।
১৯৩৪ সালে প্রথম বাবার হাত ধরে বেরিবেরির চিকিৎসা করাতে কলকাতায় যান কিশোর মুজিব। শেষবার গিয়েছিলেন ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।
মাঝখানে ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘসময় কলকাতায় শিক্ষাগ্রহণ আর রাজনৈতিক চর্চায় কাটিয়েছেন তরুণ মুজিব। পড়েছেন ইসলামিয়া কলেজে, যা এখন মৌলানা আজাদ কলেজ। ছাত্রাবস্থায় থাকতেন বেকার হোস্টেলে।
সকাল-সন্ধ্যা পার্ক সার্কাস অথবা আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে রাত কাটানো, মিল্লাত পত্রিকার অফিস, ছাত্র ইউনিয়নের আড্ডা কিংবা থিয়েটার রোড, কখনোবা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাড়িতে ছিল বঙ্গবন্ধুর নিয়মিত যাতায়াত। কলকাতায় ব্রিগেড ময়দানে তাঁর আগুন ঝরানো ভাষণ সেসময় ছিলো অম্লাণ।
কলকাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনীতি ও পারস্পরিক সম্পর্কের সেই সময়কাল উঠে আসছে সেলুলয়েডে। ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ সম্প্রতি তাঁর ক্যামেরার পর্দায় ছবি এঁকেছেন ‘কোলকাতায় বঙ্গবন্ধুর’ শুটিং দিয়ে। আনুষ্ঠানিক মহরত হয় রফি আহমেদ কিদোয়াই স্ট্রিটের মৌলানা আজাদ কলেজ চত্বরে।
ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ বলেন, “হাজার বছরের অসাধারণ শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলা হয় বাংলাদেশে, তাঁর যে প্রাথমিক জায়গা এখানে তৈরি হয়েছিল তার কিছু আলোকপাত করার চেষ্টা করবো আমরা। যাতে এটা নিয়ে পরবর্তীকে আরও কাজ হয়। এটাকে প্রাথমিক খসড়া কাজ বলতে পারেন। কারণ, এমন একটা বিষয় যেটা নিয়ে পরবর্তীকে আরও ফিল্ম হতে পারে।”
বঙ্গবন্ধুর লেখা প্রামাণ্য দলিল, অসমাপ্ত আত্মজীবনীই এই তথ্যচিত্র নির্মাণের অনুপ্রেরণা বললেন তিনি।
গৌতম ঘোষ বলেন, “অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে তাঁর কলকাতা প্রসঙ্গে অনেক ঘটনা রয়েছে, অনুভূতি লেখা রয়েছে। এটাই সবচেয়ে অথেনটিক বলে মনে হয়। কারণ বঙ্গবন্ধু এটা জেলে বসে লিখেছিলেন। রাজনৈতিক চিন্তার গভীরতা এবং জাতীয় রাজনীতির কি হয়, কিভাবে তার খেলা চলে, কিভাবে তার উত্থান-পতন হয় এগুলো উনি বুঝতে পেরেছিলেন কলকাতা এসে।”
ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ও কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস উদ্যোগ নিয়েছে উপ-মহাদেশের রাজনীতির এই কবির কলকাতার জীবন তুলে ধরার।
ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ সহ-সভাপতি সত্যম রায় চৌধুরী বলেন, “কলকাতায় শেখ মুজিব যেসব জায়গাগুলোতে থেকেছেন, তাঁর পদধূলি পড়েছে সেগুলোর অনেকটা নষ্ট হয়েছে বা হচ্ছে। সেটা সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ার আগে যেন সেগুলোকে তুলে ধরা হয়।”
বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান বলেন, “এটি সূলত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কোলকাতা এবং ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় হতে যাচ্ছে। আমরা খুবই আনন্দিত যে, ছবিটি করছেন স্বনামধন্য চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষ।”
এ বছর জুনে দুই বাংলায় ছাড় পাবে ‘কোলকাতায় বঙ্গবন্ধু’।
এএইচ/
আরও পড়ুন