আমিষেও বিষ! (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪৭, ২২ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১১:৪৮, ২২ এপ্রিল ২০২২
আমিষেও বিষ। ব্রয়লার মুরগির মাংস ও ডিম এখন পুষ্টির বদলে ক্যান্সার ও কিডনী রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, মাংস ও ডিমে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উচ্চমাত্রার বিষাক্ত নাইট্রোফোরন, আর্সেনিক ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার তুলনায় ছয়-সাত গুন বেশী। মূলত ক্ষতিটা করছে মুরগির খাবারের ক্রোমিয়াম ও নাইট্রোফোরনযুক্ত কেমিকেল। এ অবস্থায় মুরগির খাবার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও খামারীদের জন্য তৈরি নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
আমিষের চাহিদা পূরণের বড় উৎস হলো ব্রয়লার মুরগী ও ডিম। কিন্তু আমিষের এই উৎস এখন মৃত্যুর কারণ।
বিভিন্ন গবেষণা বলছে, ব্রয়লার মুরগীর মাংস ও ডিমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টিকারী ধাতুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মাংসে ২০০০ মাক্রোগ্রাম, কলিজায়-৬১২ মাইক্রোগ্রাম, এবং মগজে- ৪০০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিষাক্ত ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুসারে মানুষের শরীরে ক্রোমিয়ামের সহনীয় মাত্রা ২৬-৩৫ মাইক্রোগ্রাম। মুরগির ডিমেও সহনীয় মাত্রার চেয়ে ৬-৭ গুণ বেশি ক্রোমিয়াম আছে।
এবিষয়ে বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, "প্রতিদিন যে আমরা এগুলো খাচ্ছি এতে আস্তে আস্তে এই ধাতুগুলো আমাদের শরীরে জমা হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের লং টার্ম প্রবলেম হতে পারে। যেমন ক্যানসার, ফার্টিলিটির সমস্যা এমনকি অটিজমও হতে পারে এর কারণে।"
বাংলাদেশে মুরগীর খাবার তৈরিতে ক্রোমিয়াম মিশ্রিত ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার হয়। পশুর চামড়ার পশম পোড়াতে ব্যবহার হয় ক্রোমিয়াম ও নাইট্রোফোরনযুক্ত কেমিকেল। মুরগির মাংস এবং ডিমের মধ্য দিয়ে মানবদেহে ঢুকছে ক্ষতিকর এই রাসায়নিক।
এবিষয়ে ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, "পোল্ট্রি ইন্ডাসট্রিতে যে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে তা পানিতে মিশে যাচ্ছে, এতে আস্তে আস্তে জীবাণু সহনশীল হয়ে যাচ্ছে।"
তিনি বলেন, "২০৫০ সারের মদ্যেও যদি পরিস্থিতি পরিবর্তন না হয় তাহলে ১০ মিলিয়ন লোক মারা যাবে যারমধ্যে ৯০ শতাংশ মারা যাবে উন্নয়নশীল দেশে।"
এ অবস্থায় খামারিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি খাবার উৎপাদনকারীদের নজরদারির আওতায় আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসবি/
আরও পড়ুন