পৌরসভার উপদেষ্টা হতে চান সংসদ সদস্যরা
প্রকাশিত : ২১:২৭, ১১ মে ২০২২
জেলা-উপজেলার মতো পৌরসভায়ও উপদেষ্টা হতে চান স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। বুধবার (১১ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কার্যপত্র থেকে জানা যায়, আগের বৈঠকে কমিটির সদস্য আ স ম ফিরোজ সংসদ সদস্যদের পৌরসভার উপদেষ্টা করার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে বলেন, জেলা/উপজেলা পরিষদে উপদেষ্টা হিসেবে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা থাকলেও পৌরসভার ক্ষেত্রে সেটা নেই। না থাকার বিষয়ে কোন রহস্য রয়েছে কি না সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। পরে তিনি সংসদ সদস্যদের উপদেষ্টা করার পরামর্শ দেন। তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন কমিটির আরেক সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ।
কমিটির সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও তাদের মতের সঙ্গে একাত্ম হয়ে বলেন, ‘ভোটের মাধ্যমে পৌরসভায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে। কাজেই তাদের জবাবদিহিতা থাকা উচিত। তিনি জেলা/উপজেলা পরিষদের মতো পৌরসভায়ও এমপিদের উপদেষ্টা রাখার বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দেন।’
পরে এ বিষয়টি বৈঠকে সুপারিশ আকারে আসে। তবে বুধবারের বৈঠকে ওই সুপারিশের অগ্রগতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, সম্প্রতি সংশোধিত স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯-এ পৌরসভায় সংসদ সদস্যদের উপদেষ্টা করার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
এদিকে আগের বৈঠকে কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান জমি রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করার কথা বলেন। তিনি বলেন, ভূমি হচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আর ভূমি রেজিস্ট্রেশন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এক্ষেত্রে ভূমি প্রশাসনের সঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সমন্বয়হীনতার সৃষ্টি হচ্ছে। পরে তিনি ভূমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসার পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এ সুপারিশের জবাবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভূমি রেজিস্ট্রেশন বিষয়টি আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং এসিল্যান্ড অফিসের সাথে ই-রেজিস্ট্রেশন ও এলএএন আরও জোরদার করা হবে।
অন্যদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটি বালু মহাল ও জলমহালের সীমানা এবং বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্রুত সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করে।
ভূমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আ.স. ম ফিরোজ, হাফিজ আহমদ মজুমদার, র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, পনির উদ্দিন আহমেদ।
আরকে//
আরও পড়ুন