সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৪:৫৯, ১৮ মে ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমুদ্রের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশের বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সম্পদ অপচয় রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।
বুধবার (১৮ মে) সকাল ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের নব-নির্মিত পরিবেশ-বান্ধব বহুতল ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সেময়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অপরিকল্পিত অবকাঠামো না করতে হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ভবন নির্মাণের তাগিদ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্র সীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এখন সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য সুনীল অর্থনীতি নিয়ে কাজ চলছে। বাংলাদেশের সমুদ্র সীমা ও পাহাড় মিলিয়ে একটি ভূখণ্ড আমরা পেয়েছি। এর প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সমুদ্র সম্পদ রক্ষা করতে হবে। পর্যটকদের জন্য ব্যবস্থা থাকবে, কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যটন নগরীকে আকর্ষণীয় করতে অনেক ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশেষ ধরনের আধুনিক ব্যবস্থাগুলোও ধীরে ধীরে নেওয়া হবে। বিশ্বের বুকে সবচেয়ে উন্নত, সমৃদ্ধ ও সুন্দর দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বাংলাদেশ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, সচিব মো. শহীদুল্লা খন্দকার ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা প্রশাসক মো. মানুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, নানা সংকট ও সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় কউকের ভবনসহ বড় বড় উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
১ দশমিক ২১ একর জমিতে ১শ’ ১৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্থায়ী কার্যালয়ের জন্য ১০ তলা নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত রয়ে যায়।
ইতিমধ্যে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কউক চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ।
এএইচ/
আরও পড়ুন