ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দুশ্চিন্তায় পদ্মাপাড়ের শ্রমজীবী মানুষ (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩৬, ১ জুন ২০২২ | আপডেট: ১৪:৩২, ১ জুন ২০২২

পদ্মাসেতু চালুতে গুরুত্ব কমবে নৌ-ঘাটগুলোর। বেকার হবার শঙ্কায় হকার-শ্রমিকসহ কয়েক হাজার মানুষ। 

গানে গানে কষ্টের বয়ান করছিলেন পদ্মার মাঝি মোবারক। আট বছর বয়সে ধরেছিলেন নৌকার বৈঠা। ঘটনাবহুল জীবনে এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে বেকার হবার অভিজ্ঞতাও।

মাঝি মোবারক জানান, “চিন্তা ভাবনা আছে বাঁশি বাজাব, বিক্রি করবো।”

ঘাটের ব্যবহার বন্ধ হলে কমবে প্রাণচাঞ্চল্য। কমবে লঞ্চে-ফেরিতে শসা, ঝালুমুড়ি, ছোলা, সেদ্ধডিম, নারকেল চিড়া, সিঙ্গারা, দইসহ মুখরোচক খাবার বিক্রির সুযোগও। 

ব্যবসা না হলে কিভাবে ঘুরবে জীবনের চাকা? এজন্যই বাড়ছে দুশ্চিন্তার পারদ।

লঞ্চের এক হকার জানান, “সেতুটি যখন চালু হয়ে যাবে তখন লঞ্চে এরকম লোকজন আর পাব না। কার কাছে বিক্রি করবে।”
  
শিমুলিয়া, বাংলাবাজার, মাঝিকান্দির ঘাটকেন্দ্রিক হাজারো শ্রমজীবী আজ একই বাস্তবতার মুখোমুখি।

শ্রমজীবীরা জানান, “সরকার যদি সহযোগিতা করে, কোন জায়গায় সেট করে দেয় তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা বাঁচতে পারবো।”
   
যান চলাচলে পদ্মাসেতু উন্মুক্ত হচ্ছে ২৫ জুন, আনন্দে মাতোয়ারা পদ্মাপাড়ের মানুষ। কিন্তু আকস্মিক পেশাবদল কয়েকগুণ বেশি ভাবাচ্ছে তাদেরকেও।

ঘাটের হকাররা জানান, “প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি, যে কোন কর্ম করে পরিবার নিয়ে যেন চলে-ফিরে খেতে পারি। তার কাছে দাবি করার আমাদের অধিকার আছে।”

শুরুতে বিকল্প পেশা আর কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। শেষে এসে এখন তো তার ছিটেফোটারও দেখা নেই। খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তাটুকুই তাই চান বিস্তীর্ণ পদ্মা জনপদবাসী।

পদ্মাসেতু উন্মুক্ত হবার খবরে যেমন আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে পদ্মাপাড়ের মানুষের মাঝে ঠিক তেমনিভাবে এই নদীকেন্দ্রিক নৌযান এবং এর সংশ্লিষ্ট যে হকার রয়েছে আগামীতে তাদের রুটি-রুজির সংস্থান কিভাবে হবে, কিভাবে পালিত হবে তাদের পরিবার। এই বাস্তবতায় তারা সরকারের কাছে সহায়তা চান, যাতে করে তাদের অবস্থার পরিবর্তন ও পুনর্বাসনের জন্য কোন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি