এ মাসেই মালয়েশিয়া যেতে পারবে বাংলাদেশী কর্মীরা
প্রকাশিত : ১৮:৩১, ২ জুন ২০২২
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ
চলতি মাসেই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানো যাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) মালয়েশিয়ার এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।
বৈঠকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান ও দেশটির প্রতিনিধিদল অংশ নেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে এখন বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি আছে, যার সংখ্যা ১,৫২০। আমরা কিন্তু এই তালিকা তাদের পাঠিয়েছিলাম।
ইমরান আহমদ এ সময় বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, সমঝোতা অনুযায়ী রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করার অধিকার কিন্তু মালয়েশিয়ার। যেহেতু তারা লোক নেবে, সেহেতু অধিকার তাদের। এই যে ২৫, ৫০, ১০০ সংখ্যা আপনারা বলেন, এই সংখ্যা সমঝোতায় নাই। আমাদের আজকের আলোচনায় কোথাও নেই।
তিনি বলেন, রিক্রুটিং এজেন্টরা যারা ব্যবসা করতে চায়, তারা নিজেরাই নিজের ব্যবসা খুঁজবে।
অভিবাসন খরচ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, খরচ কিন্তু সমঝোতায় উল্লেখ করা আছে। কিছু অংশ বাংলাদেশের প্রান্তে খরচ আছে, যা কর্মীকেই বহন করতে হবে। আর বিমান টিকেট থেকে শুরু করে বাদবাকি যাবতীয় খরচ নিয়োগকর্তার। আগের সমঝোতায় বিমান টিকেট একটি ছিল, আর এখন আসা যাওয়া দুটির খরচ নিয়োগকর্তার।
এদিকে, শূন্য অভিবাসন ব্যয় নিশ্চিত করার জন্য মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাবেন। যদি কোনও এজেন্সি বা নিয়োগকর্তা আইন ভঙ্গ করে, তাহলে তারা আইনি ব্যবস্থা নিবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন জানান, মালয়েশিয়া পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ কর্মী বাংলাদেশ থেকে নেবে। পাশাপাশি তারা ভবিষ্যতে নিরাপত্তা কর্মী ও গৃহকর্মী নিতে আগ্রহী। কর্মীর বেতন হবে ১,৫০০ রিঙ্গিত।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমইটি মহাপরিচালক মো শহীদুল আলম প্রমুখ।
এনএস//
আরও পড়ুন