ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

পদ্মাসেতুর নাট খোলার আরেক ভিডিও ভাইরাল!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৫, ২৭ জুন ২০২২

পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট বল্টু খুলে বায়েজীদ নামের এক টিকটকার আটক এবং তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার ঘোষণার মধ্যেই নাট খোলার আরও একটি ভিডিও ছড়িয়েছে। দুটি ভিডিও পর্যালোচনা করলে দেখে মনে হয়, দুটো একই জায়গায় করা হয়েছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা-সিআইডি বলেছে, তারা বেশ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে একসঙ্গে কাজ করছে। এসব বিষয়ে সোমবার জানানো হবে।

এর আগে রোববার পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর দিনে সেতুতে উঠতে বিশেষ করে বাইকারদের মরিয়া মনোভাবের মধ্যে সেতুর রেলিংয়ের ওপরে থাকা স্টিলের পাত সংযোগের নাট বল্টু খুলতে দেখা যায় একটি ভিডিওতে। পরে জানা যায়, সেই যুবকের নাম বাইজীদ। তার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলীখালী গ্রামে।

ভিডিওটি প্রথমে আপলোড করা হয়েছিল টিকটকে। সেটি ভাইরাল হলে তুমুল সমালোচনার মুখে তা সরিয়ে ফেলা হয়। এমনকি বাইজীদের ফেসবুক আইডিটিও ডিঅ্যাকটিভেট করে ফেলা হয়। বন্ধ হয়ে যায় ফোন নম্বরও।

তবে এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় সিআইডি। সেই যুবক হাত দিয়ে নাট বল্টু খোলার কথা জানানো হলেও গোয়েন্দারা জানান, বাইটের নাট খোলার যন্ত্র দিয়েই সেতুর রেলিংয়ের নাট খোলা হয়েছে। 

এই ঘটনায় আটক বাইজীদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারায়। যে ধারায় এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বলেই জানা গেছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মনে করছে, সেতুর ওপরের রেলিংয়ে ইস্পাতের পাতের সংযোগস্থলের নাট খোলা নিছক খেয়ালের ছলে হয়নি; এটা পরিকল্পিত। সেতুর ক্ষতির উদ্দেশ্যেই।

এদিকে, এর মধ্যেই টিকটকে আরও একটি ভিডিও প্রচার হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, নাট খুলে লম্বা গড়নের এক যুবক বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নাট।’ এরপর অন্য একজন বলেন, নাট খুইল্যা গেছে?’ জবাবে সেই যুবক বলেন, ‘ঝাকায়া খুইল্যা ফালাইছি হাত দিয়া’।

এরপর ‘এই সবগুলাই কি লুজ?’ -জিজ্ঞেস করেন ভিডিওতে চেহারা দেখা না যাওয়া সেই দ্বিতীয় জন।

এর মধ্যে সেই নাটটি জায়গা মতো স্থাপন করেন লম্বা গড়নের ওই যুবক। বলেন, ‘এইগুলা লুজ। লাগায়া দিলাম। ক্যামেরা দেহাইয়া লাগাইয়া দিলাম।’

আর ক্যামেরার পিছনে থাকা সেই যুবক বলেন, ‘এখন লাগায়া দিছেন, কিন্তু রাইতে আবার কী করবেন না করবেন…’

এরপর লম্বা গড়নের ওই যুবক পাশের আরেকটি নাটের কাছে গিয়ে বলেন, ‘এই যে দেখেন আরেকটা। এতে আমি কিন্তু কোনো রেঞ্জ ব্যবহার করি নাই।’ যদিও তিনি সেই নাট খুলেছেন কি-না, সেটা দেখা যায় না।

বাইজীদের যে ভিডিওটি টিকটকে ছড়িয়েছিল তার এবং এই দ্বিতীয় ভিডিওর জায়গা একই বলেই প্রতীয়মান হয়, যদিও বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ বিস্তারিত জানাননি। এমনকি দ্বিতীয় যুবকের পরিচয়ও কেউ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে সিআইডির সাইবার ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এই ধরনের বেশ কয়েকজনের বিষয়ে খোঁজ করছি। তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি