ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

কোনো দলের নয়, নির্বাচনে সরকারের সহায়তা নেবে ইসি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩০, ২৮ জুন ২০২২ | আপডেট: ২০:৫৫, ২৮ জুন ২০২২

আগামী নির্বাচনে তিনশ আসনেই ইভিএম চায় আওয়ামী লীগ। সিইসির সঙ্গে রাজনৈতিক দলের মত বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে ভোটে আনার দায়িত্ব সরকারেরও নয়, ইসিরও নয়। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচনে কোনো দলের নয়, সরকারের সহায়তা নেবে ইসি।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ইভিএমের কারিগরি দিক নিয়ে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর শেষ দিনের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। 

এদিন সংলাপে অংশ নেয় আওয়ামী লীগসহ ১০ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। 

সূচনা বক্তব্যে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম ইস্যুতে রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে বস্তুনিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নেবে ইসি।

ইভিএমের পক্ষেই নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে ইভিএমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করার জন্য আমরা সিইসির কাছে আহ্বান করছি। আমরা মনে করি, দেশে ইভিএম পদ্ধতি অধিকতর জনপ্রিয় এবং সহজে ব্যবহার করার লক্ষ্যে ইসি এখন থেকেই প্রচার প্রচারণায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

এসময় অন্য দলগুলোর প্রতিনিধিরাও ইভিএম নিয়ে নিজেদের মত তুলে ধরেন। ইভিএম ইস্যুতে এর ত্রুটি, ভোটারদের আস্থা, পেশীশক্তির ব্যবহার ঠেকানো এবং নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জও তুলে ধরেন কেউ কেউ।

তবে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের ঐক্যের আশা করছেন সিইসি। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে বিপক্ষেই বেশি কথাবার্তা হয়েছে। অনেকে আবার ইভিএমের পক্ষেও বলেছেন। অনেকে আরও উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে যদি ইভিএম ক্রয় করা যায়, তাহলে আর ভালো হয় বলেছেন। আবার অনেকে সরাসরি বলেছেন- আমরা ইভিএমে নির্বাচনে যাবো না। আমরা আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করবো। ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে আলটিমেটলি সিদ্ধান্তটা আমাদেরই নিতে হবে।’

পরে বিএনপির নির্বাচনে আসা না আসার প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদেরকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব কারো ওপরই বর্তায় না। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটা কথা কেউ কেউ বলে থাকে যে, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। আমি বলব, বর্তমান সরকারের অধীনে কিন্তু নির্বাচন হচ্ছে না, নির্বাচন হবে ইসির অধীনে। ইসিকে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য বর্তমান সরকার ফ্যাসিলেটেড করবে, সম্পূর্ণ সহযোগিতা আমরা দেবো।’

ইভিএমের কারগরি দিক নিয়ে তিন ধাপের আলোচনা করে ইসি। এতে নিবন্ধিত বিএনপিসহ ১২টি দল অংশ নেয়নি।

আজকের সংলাপে আমন্ত্রিত ১৩টি দলের মধ্যে ১০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অংশ নেওয়া দলগুলো হলো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- ন্যাপ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।

এ দিন গণফোরামের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে অংশ নেন, যদিও তাদের আমন্ত্রণ ছিল ২১ জুন। কিন্তু সেদিন দলটি আসতে পারেনি।

অন্যদিকে, আমন্ত্রণ পেয়েও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ সভায় অংশ নেয়নি।

এর আগে, দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানায় ইসি। গত ১৯ ও ২১ জুন দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ইভিএম যাচাইবিষয়ক সভা করে ইসি। এই দুই ধাপে ১৮টি দল উপস্থিত থাকলেও সাড়া দেয়নি বিএনপিসহ অন্য আটটি দল।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি