কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ২১ লক্ষ গবাদিপশু
প্রকাশিত : ২২:০০, ৩ জুলাই ২০২২
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, এবারের ঈদুল-আযহায় ৯৭ লক্ষ ৭৫ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে ১ কোটি ২১ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৮৯ টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। আর মানুষ যাতে ঘরে বসেই পশু ক্রয় করতে পারে তাই দ্বিতীয়বারের মতো অনলাইনে পশু ক্রয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে।
রোববার (৩ জুলাই) কোরবানির পশু বিক্রির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ডিজিটাল হাট ২০২২ (digitalhatt.gov.bd) এর অনলাইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই ও একশপ এবং ই-ক্যাব যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
মন্ত্রী এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অনলাইনে গবাদিপশু ক্রয়ের ক্ষেত্রে যাতে কেউ প্রতারিত না হয় তা নিশ্চিত করা হবে। ডিজিটাল হাটের সাথে সম্পৃক্ত এটুআই, একশপ, ই-ক্যাবসহ অন্যান্য ফোরাম সম্মিলিতভাবে সেটি নিশ্চিত করবে।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, একসময় ভারত-মিয়ানমার থেকে পশু না এলে কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতো মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে এগিয়ে চলেছে তার অন্যতম অধ্যায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, গতবছর অনলাইনে ৩ লাখ ৭৫ হাজার গবাদিপশু বিক্রয় হয়েছে। অনলাইনে ক্রয়কৃত গবাদিপশু পছন্দ না হলে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এবছর ভার্চুয়াল ক্যালকুলেটর নতুন সংযোজন করা হয়েছে।
তিনি আরও যোগ করেন, অনলাইনে আপলোডকৃত গবাদিপশুর মালিকানা, ঠিকানা, মালিকের মোবাইল নাম্বার, পশুর বয়স, ওজন এবং ছবি সম্বলিত তথ্য প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। আপলোডের ক্ষেত্রে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য সনদ নিতে হবে। এক্ষেত্রে ভেটারিনারী সার্জনরা সেবা প্রদান করবেন। খামারিদের অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযুক্ত করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে। এক্ষেত্রে ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন সমন্বয়ের মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানান মন্ত্রী।
অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে হাসিল আদায় করা যাবে না। এ ক্ষেত্রকে ইজারা বহির্ভূত রাখা হবে এবং এ সংক্রান্ত হয়রানি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি বাজারের বাইরে বাড়িতে বা রাস্তায় কেউ পশু বিক্রি করলে কোনভাবেই তাদের কাছ থেকে হাসিল বা চাঁদা আদায় করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এছাড়া কোরবানির পশু পরিবহনকারী যানবাহন সড়কে, সেতুতে এবং ফেরিতে অগ্রাধিকার পাবে। অনলাইনে ক্রয়কৃত পশু আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে কেউ সমস্যার মুখোমুখি হলে তা সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কাজ করবে। আর্থিক লেনদেনের জন্য স্মার্ট কার্ডসহ অন্যান্য অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান ও এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি-২ প্রকল্পের পরিচালক আ ন ম গোলাম মহিউদ্দিন, ইউএনডিপির জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজল চ্যাটার্জী, ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল প্রমুখ। ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। ডিজিটাল হাট প্ল্যাটফর্ম নিয়ে উপস্থাপন করেন এটুআই এর হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জেমি।
এসি
আরও পড়ুন