ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:০১, ৫ জুলাই ২০২২

বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানির ব্যবহার কমাতে এলাকাভিত্তিক নির্দিষ্ট সময়ের লোডশেডিং করে বিদ্যুতের ব্যবহার কিছুটা কমানো যায় কি-না সে চিন্তা করছে সরকার। তবে সে ক্ষেত্রে আকস্মিক নয়, মানুষকে প্রস্তুত থাকার সময় দিয়ে সেটা করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন। 

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা সেনানিবাসের পিজিআর সদর দফতরের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশবাসী প্রতিদিন আট থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং প্রত্যক্ষ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘এখন বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে সংকট উত্তরণে এলাকাভিত্তিক কিছুটা লোডশেডিং চলতে পারে।’’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘এখন আমরা একটা সুনির্দিষ্ট সময় যদি ধরে দিই যে, একেক এলাকাভিত্তিক কিছুক্ষণের জন্য সেখানে বিদ্যুতের কিছুটা লোডশেডিং হবে, হঠাৎ যাবে হঠাৎ আসবে না, মানুষ প্রস্তুতি নিতে পারবে। সেভাবেই আমাদের কিছু কিছু পদক্ষেপ এখন থেকেই যদি আমরা নিই তাহলে আগামী দিনে যে আরও সমস্যাটা দেখা দিতে পারে সে পরিস্থিতি থেকে আমরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবো।’’

বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি সবাইকে সঞ্চয় করার এবং দেশব্যাপী খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেন সরকারপ্রধান। এর মাধ্যমে যেকোনো সংকট মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

মহামারি করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা, বিদ্যুতের অভাব এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের শুরু থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। আমরা যদি সাবধানে এগিয়ে যাই, ইনশাআল্লাহ আমাদের কোনো সমস্যা হবে না, এটা আমার বিশ্বাস।’’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘‘চলমান করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেনের মতো উন্নত দেশগুলোসহ বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি কয়লা না পাওয়া এবং গ্যাস ও ডিজেলের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী উপাদানের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেখানেও এখন বিদ্যুতের তীব্র সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।’’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যুদ্ধের কারণে নিয়মিত জাহাজ চলাচল না করায় বিশ্ব বর্তমানে পরিবহন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, পরিবহন ব্যয় অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে।’’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘বিদ্যুতের ব্যাপারে আমাদের শুধু সাশ্রয়ীই হলে চলবে না। আমি যেমন চিন্তাও করেছি কিছুটা সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন একটু কমিয়ে দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে উপাদানগুলো সেগুলো যেন আমরা কম ব্যয় করতে পারি।

’’অনেক উন্নত দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে,’ উল্লেখ করে তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি এবং জলাশয়কে কাজে লাগানোর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে, আমরা যদি সাশ্রয়ী হয়ে উঠি এবং আমাদের সঞ্চয় বাড়াতে পারি তাহলে যেকোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারবো।’’

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি