ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ব্লগার অনন্ত হত্যা: ফাঁসির আসামি ভারতে গ্রেফতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩৭, ৬ জুলাই ২০২২

ফয়সাল আহমদ

ফয়সাল আহমদ

সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফয়সাল আহমদ বেঙ্গালুরুতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। 

পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল ফয়সালকে গ্রেফতার করেছে। 

কলকাতা পুলিশের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, জুনে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা ফয়সালের হদিস পান ভারতে। তার মোবাইল নম্বর কলকাতা পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল। 

১ জুলাই বোম্মনাহাল্লি থেকে তাকে গ্রেফতার করার পর ৩ জুলাই কলকাতায় নেওয়া হয়। তাকে এ বার বাংলাদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ফয়সালের কাছে যে পাসপোর্ট মিলেছে, সেখানে রয়েছে কাছাড়-ঘেঁষা মিজোরামের ঠিকানা। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বেঙ্গালুরুর আর ভোটার কার্ড শিলচরের। সেখানে তার পরিচয় শাহিদ মজুমদার। 

পুলিশ জানায়, জেহাদি কার্যকলাপের অভিযোগ স্বীকার করে ফয়সাল জানিয়েছে, ২০১৫ সালেই সে শিলচরে পালিয়ে এসেছিল। 

মুক্তমনা লেখক, ব্লগার, প্রকাশক ও অধিকারকর্মীদের ওপর একের পর এক জঙ্গিবাদী হামলার মধ্যে ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেটের সুবিদবাজারের নূরানী আবাসিক এলাকায় খুন হন ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ।

পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। পাশাপাশি তিনি স্থানীয় গণজাগরণ মঞ্চেরও সংগঠক ছিলেন।

ওই মামলার রায়ে গত ৩০ মার্চ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত; তাদের মধ্যে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭) একজন।

বাকি তিনজন হলেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন (২৫), সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫) ও কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫)। তাদের মধ্যে খায়ের ছাড়া বাকি দুজনও পলাতক।

কলকাতা পুলিশের জেরায় ফয়সাল জানিয়েছেন, তার নেতৃত্বে আল-কায়দার অসম মডিউল নিজেদের ঘাঁটি মজবুত করেছে বরাক উপত্যকায়। হত্যাকাণ্ডের সময়ে ফয়সাল ছিল মেডিকেলের ছাত্র। তখন থেকেই জড়িয়ে পড়েছিল আল-কায়দার ছায়া সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সঙ্গে। 

এএইচএস


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি