গ্রামীণ টেলিকম পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
প্রকাশিত : ১৩:১২, ২৮ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১৩:৪৬, ২৮ জুলাই ২০২২
গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ পাচারসহ চার অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, কোম্পানি থেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরে মাধ্যমে আত্মসাৎ প্রভৃতি।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে গিয়ে শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান।
এর মধ্যে রয়েছে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী না করা, শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন না করা।
এছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেয়া হয়নি।
গত সোমবার (২৫ জুলাই) ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের মামলার শুনানি আবার পেছানো হয়। পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ১১ আগস্ট।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন।
এর আগে গত ৬ জুন ড. ইউনূসের মামলা দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিল আপিল বিভাগ।
এদিকে সম্প্রতি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের আবেদন করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দুদক।
এএইচএস
আরও পড়ুন