দক্ষিণ এশিয়ায় অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১০, ৮ আগস্ট ২০২২
দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলংকা ও পাকিস্তান বিপর্যন্ত; তবে যথেষ্ট মজবুত বাংলাদেশের অর্থনীতি। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, বিদ্যুতায়ন কিংবা আর্থসামাজিক খাত; এ অঞ্চলে বাংলাদেশ অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। এমন পর্যবেক্ষণই উঠে এসেছে লন্ডনভিত্তিক প্রভাবশালী পত্রিকা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে।
অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা এখন দেউলিয়া। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উদ্বেগজনক পর্যায়ে নেমে এসেছে পাকিস্তানে। তবে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। আঞ্চলিক ভূ-অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যেও এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল বাংলাদেশের অর্থনীতি।
এমন পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে ফিনান্সিয়াল টাইমসের সাবেক এশিয়া সম্পাদক ডেভিড পিলিংয়ের এক নিবন্ধে। তিনি বলেছেন, নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই গত তিন যুগে বাংলাদেশের জিডিপি বেড়েছে আটগুণ। শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ব্যয়ের সক্ষমতা অর্জন করেছে পরিবারগুলো।
নিবন্ধে ডেভিড পিলিং জানান, শিল্পখাতে অর্থসরবরাহ বাড়ানোর পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে ব্যাংকগুলোতে। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ অর্জন করেছে অসামান্য সাফল্য। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাড়ছে নারীদের অংশগ্রহণ।
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ সম্পর্কে তৎকালিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের নিন্দনীয় উক্তি ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ডেভিড পিলিং। বলেন, বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অগ্রগতি অসামান্য।
নিবন্ধে বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিস্ট স্টেফান ডারকনের মূল্যায়ন তুলে ধরেন ডেভিড পিলিং। বলা হয়, ১৯৮৪ সালের ৩২ মিলিয়ন ডলার থেকে পোশাক খাতের রপ্তানি আয় ছাড়িয়েছে ৩৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রাখছে রেমিট্যান্স। বছরে ২২ বিলিয়ন ডলার আসছে এখাত থেকে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা উঠে আসে স্টেফান ডারকনের মূল্যায়নে।
ডেভিড পিলিংয়ের নিবন্ধে রেনেসাঁ ক্যাপিটালের প্রধান অর্থনীতিবিদ চার্লি রবার্টসনও বাংলাদেশের সাফল্যের তিনটি কারণের কথা বলেন। সাক্ষরতা, বিদ্যুতায়ন এবং জমির উর্বরতা এগিয়ে রাখেন তিনি।
এএইচ
আরও পড়ুন