ঢাকা, সোমবার   ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে সেব্রিনা ফ্লোরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০০, ২১ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ২২:১০, ২১ আগস্ট ২০২২

গুরুতর অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, কোলানজাইটিস বা বাইলডাক্টে প্রদাহজনিত অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এতে কিছু জটিলতা দেখা দেয়ায় সেখানে ভর্তি করা হয়েছে।

অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপব্যবস্থাপক ডা. আফসানা আলমগীর খান একুশে টেলিভিশনকে বলেন, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে সেব্রিনা ফ্লোরাকে। 

আফসানা আলমগীর বলেন, “উনি একটু বেশিই অসুস্থ। উনার লাংস ইকফেনশন আছে। কিছু কমিপ্লকেশনও দেখা দিয়েছে। সেজন্য ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।”

সেব্রিনা ফ্লোরার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেটরে নেওয়া হয়। তার ফুসফুস এবং পাকস্থলীর সিটি স্ক্যানও করা হয়েছে। 

পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা  ২০২০ সালের মার্চে দেশে মহামারি করোনার প্রকোপ শুরুর পর সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন । 

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য নিয়ে প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করতেন তিনি। দিতেন সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশবাসীর উদ্দেশে নানা পরামর্শও দিতেন এই কর্মকর্তা।

১৯৮৩ সালে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। এমবিবিএস পাসের পর অস্থায়ীভাবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। এর ফাঁকে রোগতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) থেকে। এরপর সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে। তিন বছর পর অধ্যাপনা শুরু করেন নিপসমে। এরপর পিএইচডি করেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০১৬ সালে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন আইইডিসিআরে।

করোনার আগে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাবের সময়ও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

এএইচএস


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি