ঢাকা, সোমবার   ১০ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সারের কৃত্রিম সংকট মোকাবেলায় মোবাইল কোর্টের নির্দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫৪, ২১ আগস্ট ২০২২

Ekushey Television Ltd.

সারের কৃত্রিম সংকট বা কেউ যাতে দাম বেশি নিতে না পারে সেজন্য নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে, কোথাও সারের সংকট হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই নিয়মিত মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে তিনি এই নির্দেশনা দেন। 

রোববার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে ভার্চুয়ালি ‘সার্বিক সার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সভায় কৃষি সচিব মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা প্রদান করেন। 

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দেশের জেলা-উপজেলাসহ মাঠ পর্যায়ের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন। সভায় প্রতিটি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকবৃন্দ সারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। 

কৃষি সচিব বলেন, কেউ কেউ গুজব ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংকট তৈরি করছে কিনা সে ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তাদের বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। আলোচনা শেষে সভায় সঠিকভাবে সার বিতরণ-বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের কতিপয় নির্দেশনা প্রদান করেন কৃষি সচিব। 

ডিলাররা যেন বরাদ্দকৃত সার যথাসময়ে উত্তোলন করে তা নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মনিটরিং জোরদার করার কথা বলেন তিনি। কোন কোন ডিলার বরাদ্দকৃত সার যথাসময়ে উত্তোলন না করার কারণে সার বিক্রির সময় রেশনিং করে থাকেন যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। এর ফলে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের মাঝে এক ধরণের কৃত্রিম আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। রশিদ ছাড়া যেন সার বিক্রি না হয়। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে লালসালুতে বা ডিজিটালি সারের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে। ডিলারের গুদাম ভিজিট করে সারের অ্যারাইভাল নিশ্চিত করার কথাও বলেন সচিব।

এছাড়া জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে কৃষি বিভাগ নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। অধিক মূল্যে সার বিক্রির কোন তথ্য বা সংবাদ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তা রিপোর্ট করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে উপজেলা কৃষি অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ডিলারদের নিয়ে সভা করে কৃষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সবাইকে সারের পর্যাপ্ততা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।

সভায় জানানো হয়, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে (২১ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৭ লাখ ৩৬ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুদের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন।

বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুদ বেশি। বিগত বছরে এই সময়ে ইউরিয়া সারের মজুদ ছিল ৬ লাখ ০৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ২ লাখ ২৭ হাজার টন, ডিএপি ৫ লাখ ৫৬ হাজার টন এবং  এমওপি ১ লাখ ৯৬ হাজার টন।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি