ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

অসুস্থতার কারণে ভারত গেলেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১২:৩৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সকালে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। 

অসুস্থতার কারণে তিনি ভারত সফরে যাননি বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

ভারতের স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় নয়াদিল্লির পালাম এয়ারফোর্স স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা বিমানটি অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানাবেন ভারতের রেলওয়ে ও টেক্সটাই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দর্শন বিক্রম ও ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান।  

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদ-নদীর পানি বণ্টন ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ সফরে সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিরা মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হচ্ছেন ১৭০ জন। দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।

সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন- মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক-বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও তার স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে সফরসঙ্গী হচ্ছেন- মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবির আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ড. এবিএম আবদুল্লাহসহ মোট ১৯ জন।

এমিনেন্ট পারসন হিসেবে সফরসঙ্গী হচ্ছেন দুজন। তারা হলেন- নেত্রকোনা-১ আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদার ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক। মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও সফরসঙ্গী হচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

সফরসঙ্গী হচ্ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আফতাব আলী শেখ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েখউজ্জামান। এছাড়া সফরসঙ্গী হচ্ছেন এএসএফসহ নিরাপত্তা দলের বেশকিছু সদস্য।

সফরসঙ্গীদের মধ্যে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি রয়েছেন অর্ধশতাধিক। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, সহসভাপতি এমএ রাজ্জাক খান, সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি, পরিচালক সেলিম ওসমান এমপি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, বাংলাদেশ ওমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সেলিমা আহমেদ এমপি, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, পরিচালক শেহরিন সালাম ঐশী,  চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম, এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির প্রমুখ।

সফরের দ্বিতীয় দিনে ৬ সেপ্টেম্বর হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং একান্ত বৈঠক করার কথা রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের খাজা গরীব নওয়াজ দরগাহ শরীফ, আজমির (আজমির শরীফ দরগাহ) এবং ৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরের প্রথম দিনে দিল্লিতে নিজামুদ্দিন আউলিয়া দরগাহ পরিদর্শন করবেন।
এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি