‘কুশিয়ারার পানিবণ্টন চুক্তি বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন’
প্রকাশিত : ০৯:১৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারে ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন।’ মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের ভারত সফরের দুই দিনের কর্মকাণ্ড নিয়ে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এ সমঝোতা স্মারকের বিনিময়ে ভারতকে কিছু দিতে হয়নি বাংলাদেশের। দুই দেশের সম্পর্ক কখনো দেওয়া-নেওয়ার ভিত্তিতে ছিল না।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পানি প্রত্যাহারের ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ৫ হাজার একর জমি সেচের আওতায় আসবে। শুষ্ক মৌসুমে এসব জমি পানি সংকটে ছিল।
তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ মনে করে, ভারত অবশ্যই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। তবে এতে সময় লাগতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে সমঝোতা সই হওয়ার ফলে একটি গতির সঞ্চার হয়েছে। তিস্তা পানি ইস্যু সমাধানে আমরা এটিকে ধরে রাখব।’
শাহরিয়ার আলম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে গুরুত্ব দিয়েছে ভারত। দিল্লির রাস্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও দুই দেশের বন্ধুত্বের পোস্টার এবং সফর নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাভারেজে এটি দৃশ্যমান।
তিনি জানান, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুর একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাসন। এ বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের বিষয়ে তিনি মোদির সহযোগিতা চেয়েছেন। ভারত জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারত বিষয়টিতে নজর রাখছে।’ তিনি আরও জানান, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরেছে এবং একে অপরের সহযোগিতা চেয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু, কানেক্টিভিটি, জ্বালানি ও বাণিজ্য সহযোগিতা এবং পানিবণ্টন ও ব্যবস্থাপনা আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।
এসবি/
আরও পড়ুন