ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৯ জুলাই ২০২৪

রোডম্যাপ আসছে সংসদ নির্বাচনের 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৬, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প নিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ইসির বৈঠকে জানানো হয়।

ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, “তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার বৃদ্ধি ও টেকসই ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ এ আলোচনায় কমিশনাররা যাচাই কমিটিকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তবে আজকের সভায় ইভিএমের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আজকের সভাটি স্থগিত করে দিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “ইভিএমের বাজারদর যাচাই করার জন্য কয়েকদিন আগে কমিটি করে দেওয়া হয়েছিল। তারা এখনও তাদের কাজ শেষ করতে পারেনি। যাচাই শেষ হলে তারা পরবর্তী কমিশন সভায় সেটি তুলে ধরবেন। এরপর কমিশন সেটি পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”

এ রোডম্যাপের আলোকেই আগামী জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজের ছক সাজিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থা (ইসি)। যেখানে সেপ্টেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত কোন মাসে কী কাজ করা হবে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। গত সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ইসির পরিকল্পনার মধ্যে যে বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তা হলো ভোটার সংখ্যা, জনশুমারি ও ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে জিআইএস পদ্ধতিতে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ডাটাবেজ ও অ্যাপ্লিকেশন প্রণয়ন।

ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী, এবার নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। এজন্য আগের নীতিমালা পর্যালোচনা করে আগামী বছরের জানুয়ারিতে নতুন নীতিমালা তৈরি করা হবে। পাশাপাশি আগামী বছরের মার্চে নীতিমালার আলোকে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ৩০০ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে তার খসড়া প্রকাশ করবে ইসি। এ জন্য জনসংখ্যার প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। ঢাকার জনসংখ্যা বাড়লে জাতীয় সংসদে এ জেলার আসন সংখ্যা বাড়তে পারে, আবার জনসংখ্যা কমলে আসন সংখ্যাও কমতে পারে।

ইসির কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা, বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার, সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন প্রক্রিয়া সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবার পরামর্শ নেওয়া, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ।

এছাড়া বিধিবিধান অনুসরণ করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চালু, অধিকতর প্রযুক্তির ব্যবহার, দক্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি ও প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ সংস্থা নিবন্ধন ও নবায়ন কার্যক্রম, নির্বাচনী কার্যক্রমে গণমাধ্যমকে আইনি কাঠামোর আওতায় সম্পৃক্তকরণ ও ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি