ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

‘আর গোলা পড়বে না, মিয়ানমারের নাগরিকও আসবে না’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৭, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

মিয়ানমার থেকে আর কোনো গোলা বাংলাদেশ সীমানায় এসে পড়বে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটি। পাশাপাশি মিয়ানমারের কোনো নাগরিকও আর বাংলাদেশে ঢুকবে না বলে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।   

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ দেওয়া নিয়ে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে এ তথ্য দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। 

তিনি বলেন, “মিয়ানমারে কিছুটা সংঘাত হচ্ছে। এটা জানার পর থেকে আমাদের দিক থেকে যেসব ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা সেটা নিয়েছি। প্রথমত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না। আমাদের বর্ডার পুলিশসহ অন্যান্য ফোর্সকে ইতোমধ্যে সতর্ক করে রেখেছি এবং তারা পুরোপুরি অ্যালার্ট। 

“আমরা মিয়ানমার সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছি, তোমাদের গোলা যেন আমাদের দিকে না আসে। আমাদের এখানে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তারা (মিয়ানমার) বক্তব্য শুনেছে। আমরা এ ব্যাপারে তাদের বলেছি, তোমরা এ ব্যাপারে সতর্ক হবে। তারা তাদের নিশ্চয়তা দিয়েছে। আমরা আশা করি মিয়ানমার থেকে আর লোক আসবে না, আমরা সিল করে দিয়েছি।” 

৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে পড়ে। তার আগের সপ্তাহেও দু’দিন মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল এসে পড়ে বাংলাদেশে। এছাড়া গোলাগুলির শব্দও পাওয়া যায় সীমান্ত এলাকায়। 

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা এবং টেকসই আবাসন বিষয়ে পৃথক দুটি সাইড ইভেন্ট আয়োজন করবে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্ট ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী ওই সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন। 

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীও ইউনিয়ন, ওআইসি সেক্রেটারিয়েট, কানাডা, সৌদি আরব, তুরস্ক, গাম্বিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া রোহিঙ্গা বিষয়ক সাইড ইভেন্ট কো-স্পন্সর করবে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার, জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক রোহিঙ্গা বিষয়ে ব্রিফ করবেন। 

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হবে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, “আমরা এ ইস্যুটা তুলে ধরব। মিয়ানমার সরকার রাজি হওয়ার পরও রোহিঙ্গারা ফেরত যায়নি। আমরা এটাও তুলে ধরব। বিশ্ব সম্প্রদায়ের এ ব্যাপারে আরও জোর দেওয়া উচিত। কারণ এটার সমাধান তো হচ্ছে না। আমরা আরও বড় করে এটা তুলে ধরব।” 

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত প্রত্যাবাসনকে অনিশ্চতয়তায় ফেলছে কি না এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সেটা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যাবে। হয়তো এটা আমাদের প্রত্যাবাসনে সাহায্য করতে পারে, আবার উল্টোটা হতে পারে। উই ডোন্ট নো, আমরা সবসময় আশাবাদী।”

এএইচএস
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি