‘কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কথা বলতে পারবে না’
প্রকাশিত : ১৮:০৪, ৪ অক্টোবর ২০২২
সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদ্যাপন হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কেউ কথা বলতে পারবে না।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোব) বিকেলে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির অঙ্গনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
দুর্গা বিসর্জনের সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশ্ব নেতারা আশঙ্কা করছেন ২০২৩ সালে পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। দেশের কোথাও যেন এক শতাংশ জমি অনাবাদী পড়ে না থাকে। সঞ্চয়ের দিকে মনোযোগী হতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিন সকালে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজার মাধ্যমে শুরু হয় মহানবমীর আনুষ্ঠানিকতা। এদিনে আনন্দের মাঝে বিষাদের ছায়াও পড়েছে দেবী ভক্তদের মনে।
সনাতন ধর্মমতে, দেবী দুর্গা আর একদিন পরেই কৈলাসে ফিরে যাবেন। বুধবার (৫ অক্টোবর) দশমীর দিন হবে প্রতিমা বিসর্জন; অশ্রুশিক্ত চোখে ভক্তরা বিদায় দেবেন দেবী দুর্গাকে।
এবার গত শনিবার (১ অক্টোবর) ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আগমনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দেবীর বাহন এবার গজ বা হাতি। আর দশমীতে (বুধবার) নৌকায় চড়ে কৈলাসে ফিরবেন দেবী।
সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা।
নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজার মধ্য দিয়ে। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট সর্বমোট ৪৮ মিনিট সন্ধিপূজা হয়।
মূলত দেবী চামুণ্ডার পূজা করা হয় এ সময়। এ সময়েই দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর; আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে।
এদিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ পরদিন কেবল বিসর্জনের পর্ব। নবমীর রাতেই মূলত শেষ হয় উৎসব। এ সময় মণ্ডপে মণ্ডপে বাজে বিদায়ঘণ্টা।
এমএম/
আরও পড়ুন