ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

‘জানুয়ারিতে প্রকল্প অনুমোদন না পেলে ইভিএমে ভোট সম্ভব নয়’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫৫, ৯ নভেম্বর ২০২২

আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প পাস না হলে জাতীয় নির্বাচনে দেড়শ’ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। 

বিদেশ থেকে ইভিএম যন্ত্রপাতি আনতে নানা প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে অর্ডার দিতে হবে। না হলে আর সম্ভব হয়ে উঠবে না। বুধবার নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এ কথা বলেন। 

তিনি জানান, সেক্ষেত্রে বর্তমানে ইসির হাতে থাকা দেড় লাখ ইভিএম নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে। 

নতুন দুই লাখ ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় ইসি। গত মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশন ওই প্রকল্প প্রস্তাবের ব্যয় যৌক্তিক করার পরামর্শ দেয়।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো.আলমগীর বলেন, পরিকল্পনা কমিশন কী পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তা নির্বাচন কমিশন এখনও জানে না। এগুলো দেখার পর কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, প্রকল্প অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। পরিকল্পনা কমিশন বা অর্থ মন্ত্রণালয় কত টাকা দিতে পারবে, তার ওপর এটি নির্ভর করে।

তিনি বলেন, প্রকল্প অনুমোদনের পর কার্যাদেশ দেওয়া, এলসি খোলা, যন্ত্রাংশ দেশে আনা, মান পরীক্ষা করা, সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ, ইভিএম ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা, মাঠে পাঠানো-এ কাজগুলো করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। ইভিএমের যে ব্যয় তার অধিকাংশই বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করতে হবে। যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। রিজার্ভের একটা সমস্যা থাকতে পারে, অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতে পারে, সে হিসাবে পরিকল্পনা কমিশন কতটুকু পারবে সেসব দেখে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে কী করা উচিত।

মো. আলমগীর বলেন, প্রকল্প প্রস্তাবে ইভিএম সংরক্ষণাগার, পরিবহনের জন্য গাড়ি, প্রশিক্ষণ বিভিন্ন খাত আছে। পরিকল্পনা কমিশন কোন খাতে খরচ কমাতে বলেছে তা এখনও কমিশন জানে না। তবে যেটাই হোক, যাতে অর্থ ও সম্পদের অপচয় না হয় সেগুলো বিবেচনায় নিয়েই ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে এত বড় প্রকল্প প্রস্তাব করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এমন ছিল না।  অর্থনৈতিক সক্ষমতা কতটুকু আছে সেটা বলতে পারবে অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ইসি নিজেদের চাহিদার কথা বলেছে। মন্ত্রণালয় কতটুকু দিতে পারবে সেটা তাদের ব্যাপার।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি