ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

এইচএসসির প্রশ্নে ধর্মীয় উসকানি: ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৩, ১৩ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৫:২৪, ১৩ নভেম্বর ২০২২

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় উসকানির অভিযোগে প্রশ্ন প্রণয়নকারী ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পালসহ পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালতে এ আবেদন করেন ঢাকার একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী শিমু আহম্মেদ।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। তারা সবাই প্রশ্নপত্র পরিশোধনের (মডারেশন) দায়িত্বে ছিলেন।

বাদীর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, আদালত বাদীর পক্ষে তার চাচা নিজাম উদ্দিনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এ বিষয় পরে আদেশ পরে দেবেন। বাদী শিমু পরীক্ষার্থী হওয়ায় তার চাচা নিজাম উদ্দিনকে মামলা করার ক্ষমতা দেন।

অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল আরও বলেন, চলমান এইচএইসি বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় অবমাননাকর ও সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়ায় দণ্ডবিধি ১৫৩(ক) ও ২৯৫(ক) ধারায় আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তা আদেশের জন্য রেখেছেন। আমাদের বিশ্বাস, আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে আদেশ দেবেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নটি সংযোজন করে বলা হয়, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ-বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আবদুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আবদুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’

আসামিরা এ ধরনের প্রশ্ন করার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও মুসলিমদের সরাসরি হেয়প্রতিপন্ন করা হয়। এমন প্রশ্নের মাধ্যমে প্রশ্নকারী ও প্রশ্ন পরিশোধকরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ও সমাজে মুসলিমদের সম্মানহানি করেন। এসব তথ্য সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এএইচএস


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি