ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

পোল্ট্রিশিল্পে অতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহার, ক্ষতি মানবদেহের (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৫, ১৩ নভেম্বর ২০২২

এ যেন আজব দুনিয়ার আশ্চর্য কাজ-কারবার। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই কেনা যায় এন্টিবায়োটিক। বিধিনিষেধ না মেনেই এসব ওষুধ প্রয়োগ হচ্ছে পোল্ট্রিশিল্পে। আর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে এসব ওষুধও আর কাজ করছে না। এমনকি, ওষুধের ক্ষতিকর উপাদান অবিকৃতভাবে থেকে যাচ্ছে প্রাণি দেহে। আবার, খাদ্য হিসেবে গ্রহণের পর একই ক্ষতির মুখোমুখি মানব শরীরও। এই এন্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্সকে নীরব মহামারী বলছেন বিজ্ঞানীরা। 

পোল্ট্রি শিল্পে দুই দশকের বিচরণ গাজীপুরের আবু তালেব মিয়ার। কাজটি বেশ ভালোভাবে রপ্ত করে ব্যবসায় পেয়েছেন সফলতা। 

বাড়তি আয়ে বিভিন্ন ওষুধ প্রতিষ্ঠানের ডিস্ট্রিবিউটরশিপও আছে তার। চিকিৎসক না হয়েও মুরগির ওষুধ বিশেষ করে এন্টিবায়োটিক বিক্রি করেন উঠতি ছোট ছোট খামারিদের কাছে। সর্বনাশটা করছেন এখানেই।  

এমন খামারি-কাম ওষুধ ব্যবসায়ী খুঁজে পাওয়া যাবে সারাদেশেই। সচেতন খামারিদের মধ্যেও তাই হতাশা। কারণ, মাঠ পর্যায়ে নেই পর্যাপ্ত পশু চিকিৎসক। 

খামারীরা জানান, মার্কেটে যারা আছেন তারা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এইসব ওষুধ খাওয়ানোর পর মুরগি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সামান্য অসুখ-বিসুখ হলেই দেদারসে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার হয় খামারগুলোতে। 

ব্যবসা মাত্রই ঝুঁকি থাকবে, পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিও এর বাইরে নয়। যারা এর বিভিন্ন কারিগরি দিক জেনে-শুনে-বুঝে ব্যবসায় নামেন তারা ঝুঁকি-ঝামেলা সফলভাবে সামলে ব্যবসায় সফল হন। কিন্তু অনেকেই সেটা পারেননা। যার ফলে তারা উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের এন্ট্রিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার করেন। 

এমনকি, রেজিস্টেন্ট হওয়া ব্যাকটেরিয়ায় তৈরি ওষুধে কাজ করছে না, প্রাণী কিংবা মানব দেহে। 

বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে খামার পরিচালনা করলে বাড়তি ওষুধের দরকার হবে না; হবে অর্থ সাশ্রয়। 

নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকিতে খুব বেশি সুফল মিলবে না। বরং, খামারী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠির সচেতনতায় আসতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তন, এমন মত বিজ্ঞানীদের। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি