ঢাকা, সোমবার   ১০ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নির্বাচন প্রক্রিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: তুরস্কের রাষ্ট্রদূত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৭, ১৬ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৬:০০, ১৬ নভেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তবে তুরস্ক অংশগ্রহণমূলক ভোট চায়। রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের মতপার্থক্য মেটাতে ও সমাধান করতে হবে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত মিট দি অ্যাম্বাসেডর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত তুরান জানান, তারা বাংলাদেশকে একটি বিশ্বস্ত উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে দেখে এবং এটি এ অঞ্চলে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে যাচ্ছে। তুরস্ক বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বহুমুখী করার পরিকল্পনা করছে। বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ক আস্থার ভিত্তিতে এবং তারা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও সম্প্রসারিত করার অপেক্ষায় রয়েছে।

তুস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান আরও জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে চায় তার দেশ। এ জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর করতেও রাজি তারা। 

আর্মার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ার, রকেট লঞ্চার, ড্রোনসহ আরও অনেক পণ্য বাংলাদেশ কিনেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এটি শুধু ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। তুরস্কের একটি কোম্পানি বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিকে শেল বানানোর প্রযুক্তি দিয়েছে এবং সেটি এখানে বানানো হচ্ছে।”

নেভি ও কোস্টগার্ডের জন্য নতুন প্রস্তাব বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা পেট্রোল বোট তৈরির জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রস্তাব করেছি। এটি গ্রহণ করা হলে নয়টি পেট্রোল বোট খুলনা ও চিটাগাংয়ে তৈরি করা হবে।”

গত ১৫ বছরে তুরস্তের কোম্পানিগুলো প্রতিরক্ষা পণ্য উৎপাদনে অনেক উন্নতি সাধন করেছে। তারা এখন ন্যাটো মানের পণ্য উৎপাদন করছে এবং শর্ত ছাড়া সুলভ মূল্যে এগুলো বিক্রি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা-সংক্রান্ত সমঝোতা আছে। আর্থিক সহায়তার অধীনে বাংলাদেশ তুরস্কের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে প্রতিরক্ষা পণ্য কিনতে পারবে।”

বাংলাদেশের প্রায় তিন হাজার ডিফেন্স অফিসার তুরস্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে বলে তিনি জানান।

নির্বাচন প্রস্তুতি যে কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় মন্তব্য করে বাংলাদেশের রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটি দেশ তখনই এগিয়ে যায়, যখন দেশটি নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের দায়িত্ব নেয়।’

গণতন্ত্রের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। একইসঙ্গে বিরোধী দলেরও দায়িত্ব আছে। গণতন্ত্রে দুটি পক্ষ থাকে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে সমস্যা আছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করছে যাতে বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। বিরোধী দল অংশ না নিলে বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করার সুযোগ হারাবে বলে জানান তিনি।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি