শীতকাল শুরু হতে চললেও কমছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ২১:৩৫, ১৯ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ২২:০২, ১৯ নভেম্বর ২০২২
শীত মৌসুম শুরু হতে চললেও থামছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। সর্বশেষ গেলো ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৫৫৯ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ২২৬ এ। হাসপাতালগুলোতে রোগীর অতিরিক্ত চাপে হিমশিম অবস্থা। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় সাধারণ রোগীর সাথে রাখা হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদেরও।
মাদারীপুরের শিবচর থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত জাহানারা বেগম ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন দুইদিন আগে। হাসপাতালের কোনো বেড কিংবা ডেঙ্গু কর্ণারে শয্যা খালি না থাকায় মেডিসিন বিভাগের মেঝেতেই বিছানা পেতে নিজের জন্য শয্যা করে নিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা পেলেও, মেলেনি মশারী কিংবা কোনো রকম সুরক্ষা ব্যবস্থা।
"ডেঙ্গু রোগীর জন্য যে একটা পরিচর্যা পাওয়ার কথা সেটা আমরা এখানে পাইনি।" বলেন জাহানারা বেগম।
নামে ডেঙ্গু কর্ণার থাকলেও সেখানেও সাধারণ রোগীদের সাথে রাখা হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের। এতে সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ছেন অন্যরাও।
"একজন প্রফেসরের আন্ডারে যদি সব পেশেন্টের ভর্তি হত তখন আমরা আলাদা করে একটা কর্ণার করে রাখতে পারতাম। আর সব পেশেন্টের কাছে মশারি আছে। আমরা সবাইকেই এভেইলেভল মশারি দিচ্ছি।" বলেন একজন নার্স।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য বলছে, সরকারি এ হাসপাতালে ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন নতুন ১৬ জন রোগী। এ নিয়ে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ১৬৪ জন। মাঝে মাঝে মোট রোগীর প্রায় ৫০ শতাংশই ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন, বলছেন চিকিৎসকরা।
ডিউটি ডাক্তার জানান, "সিটের চাইতে রোগী ওভার ফ্লো রয়েছে। আমাদের প্রতিদিন ভর্তি শুরু হয় সকাল আটটা থেকে, দুপুর দুইটা তিনটার মদ্যে সব সিট ফির আপ হয়ে যায়।"
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য বছরগুলোতে অক্টোবর কিংবা নভেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমলেও এবার দেখা গেছে বিপরীত চিত্র। শুধু অক্টোবর মাসেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২২ হাজার রোগী। মারা গেছে ৮৬ জন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সচেতনতার অভাবে রোগীদের অধিকাংশই শেষ মুহূর্তে আসার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, "পিক সিজনে বেশি রোগী থাকে, এখন রোগী কিছুটা কমেছে তবে তা সন্তোষজনক নয়। যারা ভর্তি হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই ক্রিটিকাল কেস।"
অসময়ে ডেঙ্গু সংক্রমণ তীব্র হওয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসবি/
আরও পড়ুন