নারীরা শান্তি মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১০:৪৭, ২৮ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১২:১৫, ২৮ নভেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের নারী সদস্যরা বিশ্বের শান্তি মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে আমরা গর্বিত।
ইন্টারন্যাশনাল উইমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি (ডব্লিউপিএস) সেমিনার-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসস্থ আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘ পরিচালিত বিশ্ব শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান এবং পুলিশ বাহিনীর নারী সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। তাদের বিশেষ ভূমিকা বাংলাদেশের ভার্বমূতি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করছে।”
তিনি আরও বলেন, “ক্ষমতায়ন না হলে সমাজে নারীর অবস্থার উন্নতি হতো না। আমার সরকার নারী নীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছি। নীতির অধীনে, আমরা মূলধারার আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে নারীদের সার্বিক উন্নয়ন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ও তাদের ক্ষমতায়নের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করার ব্যবস্থা নিয়েছি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, ব্যবসা, খেলাধুলা, সশস্ত্র বাহিনী ইত্যাদি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ ও অবদান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণের কারণে বাংলাদেশে জেন্ডার সমতাসহ সব ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে লিঙ্গ সমতায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।”
এ সময় প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা আর যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। যুদ্ধের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। এখনই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করুন।”
তিনি বলেন, “আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণে দেশে জেন্ডার সমতা সব ক্ষেত্রেই উন্নত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে লিঙ্গ সমতায় শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র গঠনের শুরুতেই লিঙ্গ সমতার সারমর্মটি সঠিকভাবে চিহ্নিত করেছিলেন। সমান সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া আমরা জাতীয় উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত স্তরে যেতে পারব না।”
এসএ/
আরও পড়ুন