চলমান সকল যুদ্ধ থামান: বিশ্ব নেতাদের প্রতি শেখ হাসিনা
প্রকাশিত : ১১:৫৬, ৭ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১২:০৫, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
যুদ্ধ নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।’
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ’র উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "সংঘাত নয়, আলাপ-আলোচনায় যে কোন সংকটের সমাধান সম্ভব। বাংলাদেশ কারো সাথে কখন-ই যুদ্ধ চায় না; শান্তি চায়।”
তিনি বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “চলমান সকল যুদ্ধ থামান।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করা হচ্ছে, শান্তি স্থাপন ও শান্তি বজায় রাখতেই। এ অঞ্চলের শান্তি বজায় রেখে, বঙ্গোপসাগরে’র সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায়, বাংলাদেশ।”
এসময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, “সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগাতে কাজ করছে সরকার।”
বঙ্গোপসাগরে, প্রথম বারের মত ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ’ উদ্বোধন করে, এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এবার এই সাগরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, অস্ট্রেলিয়া, মিয়ানমার, বাংলাদেশ সহ ২৮টি দেশের অংশগ্রহণ এবং ৮টি দেশের ৪৩টি যুদ্ধ জাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার সমন্বয়ে উদ্ধার মহড়া চলবে।
স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্র্ষিকী’র স্মরণীয় করতে প্রথম বারের মত এ ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ’ এ শীপস বেল বাজিয়ে এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “নিজেদের সাগরে এ ধরণের আয়োজন সম্মানের; এর মাধ্যমে বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় হবে। আর, সমসাময়িক সময়ে ভারত মহাসাগরের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বেড়েছে, বহুগুনে। ৯০ শতাংশ বিশ্ব বাণিজ্য হয়, এ সাগরপথে-ই। তাই, এ সমূদ্রকে নিরাপদ রাখতে হবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, “প্রতিবেশী ভারত মিয়ানমারের সাথে সমূদ্রসীমা সম্পর্কীত মত পাথর্ক্য সৌহাদ্যপূর্ণভাবে সমাধান করে, বিশ্বের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। এ বিরোধ নিষ্পত্তি তিন দেশের জন্যই সুনীল অর্থনীতির বিকাশের পথকে অবারিত করেছে।” সমূদ্রের নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করে, এই করিডোরে বাণিজ্যিক ব্যবহার ও নিরাপত্তা বাড়ানোর আহবান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কক্সবাজার সমূদ্র সৈকত বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোনালী বালুকাময় সৈকত, আর বাংলাদেশও বিপুল সম্ভাবনাময় একটি দেশ। সামূদ্রিক দেশ সমূহের পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে এ ধরণের আয়োজন সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
সমূদ্র সীমা সুরক্ষায়, নৌ বাহিনী এখন একটি কার্যকর ও পেশাদার ত্রি মাত্রিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন যে, এটি এ দেশের বিশ্ব শান্তির প্রতি অঙ্গীকারেরই বহিঃপ্রকাশ।
এর পর সমুদ্রে নৌ বাহিনির অপারেশনাল কার্যক্রমকে গতিশীল করতে নির্মিত অত্যাধুনিক কজওয়ে ও জেটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসএ/
আরও পড়ুন