ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে সময় ও খরচ বাড়ছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আবারও বাড়ছে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের খরচ। এবার এই প্রকল্পের খরচ বাড়ছে ৩১৫ কোটি টাকা। পাশাপাশি আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। 

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া সভায় আরো ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চট্টগ্রামের পটিয়ার শ্রীমাই নদে বাঁধ নির্মাণ, বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাসকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্প, মাতারবাড়ী কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (সওজ অংশ), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালী পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ, বাংলাদেশের ২৪টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন প্রকল্প ও ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট ফেজ-২ (খুলনা) প্রকল্প।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ প্রকল্পের খরচ আবারও বাড়ছে। এবার বাড়ছে ৩১৫ কোটি টাকা। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ছে। এর মধ্যে আবার ঠিকাদারের বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন আমদানি খাতে খরচ বাড়ছে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা।

দ্বিতীয়বারের মতো প্রকল্পটি সংশোধনে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ফলে সব মিলিয়ে এখন এই প্রকল্পে খরচ হবে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটি শেষ করার জন্য এর আগে সময় দেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছিল সেতু কর্তৃপক্ষ।

২০১৫ সালে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি যখন পাস হয়, তখন এই প্রকল্পের খরচ ছিল আট হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। তখন এর মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। পরে যথাসময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম দফা সংশোধন করে খরচ ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। মেয়াদ বেড়ে যায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ইভিএম আমাদের তালিকায় ছিল না। পিএম (প্রধানমন্ত্রী) এটা নিয়ে জানতেও চাননি।

একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকি প্রমুখ।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি