বছরের প্রথম মাসেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৫
প্রকাশিত : ১৩:৫৯, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ২১:৩৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত ও ৮৯৯ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন। আর নৌপথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত, একজন আহত ও ছয়জন নিখোঁজ হয়েছেন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার সকালে সংগঠনের মহাসচিব মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, জানুয়ারি সড়ক, তেল ও নৌ-পথে মোট ৬৫০টি দুর্ঘটনায় ৬৪২ জন নিহত এবং ৯৭৮ জন আহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে এই মাসে ২১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৫ জন নিহত ও ১১৪ জন আহত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের চেয়ে বিদায়ী ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে সড়কে দুর্ঘটনা পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ ও দুর্ঘটনায় আহত ১০ দশমিক চার শতাংশ বেড়েছে। তবে প্রাণহানির সংখ্যা চার দশমিক ছয় শতাংশ কমেছে।
সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২০৬ জন চালক, ১০৯ জন পথচারী, ৩৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫৩ জন শিক্ষার্থী, ১০ জন শিক্ষক, ১৩ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১১৫ জন নারী, ৬২ জন শিশু, পাঁচজন সাংবাদিক, ১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ২ জন আইনজীবী ও ৩ জন প্রকৌশলী এবং ১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এ সময়ে সংগঠিত দুর্ঘটনায় মোট ৮১৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বাস, ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান ও লরি, পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস, পাঁচ দশমিক ৮৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, নয় দশমিক ৯২ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই বছর মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৯ দশমিক ৫১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৮ দশমিক ৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার পাঁচ দশমিক ২২ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, এক দশমিক ১৮ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও এক দশমিক এক শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, বিপজ্জনক অভারটেকিং, বেপরোয়া গতি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ যানবাহন উঠে আসা, ছোট যানবাহন ক্রমশ বৃদ্ধি, বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সার্ভিস লেন না থাকায় ইজিবাইক, রিকশা, অটোরিকশা মহাসড়কে নেমে আসা, গুরুত্বপূর্ণ জংশনে, রাস্তার মোড় ও বাস স্টপেজগুলোতে যানজট তৈরি করায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এসএ/
আরও পড়ুন