একুশের দিনভর বইমেলায় পাঠকের উপচে পড়া ভিড়
প্রকাশিত : ২১:৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বিশেষ এই দিনে বইমেলায় পাঠকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় শিশু-কিশোরদের নিয়ে বইমেলায় এসেছিলেন অভিভাবকরা। সন্তানদের বই কিনে দিতে পেরে সন্তুষ্ট তারা। মেলার পরিসর বড় এবং সুশৃঙ্খল হওয়ায় খুশি বইপ্রেমিরা। গত বছরের তুলনায় বিক্রি বাড়বে বলে আশা প্রকাশক-বিক্রেতাদের।
বসন্তের পাতা ঝরা দিনে হাজারো মানুষের ভীড় ঠেলে প্রাণের বইমেলায় ছুটে চলেছে পাঠকের কাফেলা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে না হতেই যেনো জন সমুদ্রে পরিণত হয় বইমেলা প্রাঙ্গণ। বাংলা একাডেমি থেকে শুরু করে সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণ দুই দিকেই যেনো তিল ধারণের ঠাই ছিলোনা।
একুশে ফেব্র“য়ারি বাঙালির গৌরবের, ভাষা ও জাতিসত্তা অর্জনের চেতনা। বইমেলা যেন নিছক একটা সন্ধ্যে কাটানোর জন্য নয়, বরং ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বন্ধনে একবার স্মৃতিচারণ।
শিশু কিশোরদের আনন্দ উচ্ছাস ছিলো চোখে পড়ার মত। অবিভাবকরা জানান, ছোটবেলা থেকেই মাতৃভাষার প্রতি টান সৃষ্টি করাতেই তারা সন্তানদের নিয়ে আসছেন বইমেলায়।
আর লেখকদের আনন্দ উদদ্দীপনা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের পাঠক ও শুভাকাঙ্খিরা। সবাই পছন্দের লেখকের বই কিনছেন তাদের অটোগ্রাফ নিচ্ছেন, লেখকের সঙ্গে ছবি তুলছেন, এ যেনো আনন্দ উৎসব।
এবারও হুমায়ূন আহমেদের বই বিক্রি বেশি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। আর মেলার সামগ্রিক আয়োজনে সন্তুষ্ট পাঠক-দর্শনার্থীরা।
প্রযুক্তির কাছে যাতে বই ম্লান না হয়, তরুণ প্রজন্মের মুঠোফোনের পাশেই যাতে একটি বইয়ের স্থান হয় সেই প্রত্যাশা জানান লেখক ও সাহিত্য অনুরাগীদের।
এসবি/
আরও পড়ুন