পলিথিনের জায়গা পাটের দখলেই থাকতো, যদি আইনের প্রয়োগ হতো (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪১, ২১ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ১৩:০৬, ২১ মার্চ ২০২৩
পাটের তৈরি মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে আইন পাস হলেও ১৩ বছরে নেই দৃশ্যমান বাস্তবায়ন। বরং পাল্লা দিয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার। আইনটি কার্যকর হলে কম করে হলেও ৪০ ভাগ পাট ব্যবহার বাড়তো বলেই মনে করেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
এই প্লাস্টিক অনিঃশেষ; দীর্ঘদিনেও হয় না বিনাশ। বরং পরিবেশের নিরন্তর ক্ষতি করেই চলে। বাধাগ্রস্ত হয় জমির উর্বরতা।
পলিথিনে খাদ্যপণ্যের পরিবহন, বড় ক্ষতি করে মানব শরীরেরর। এসব কথা কম বেশি সবার জানা। প্রশ্ন হলো, কোথায় ব্যবহার নেই ঘাতক এই প্লাস্টিক ও পলিথিনের?
পথঘাট-অলিগলি, স্যুয়ারেজ লাইন- এমনকি নদ-নদী জলাধার, শহর থেকে গ্রাম- সবখানেই সরব উপস্থিতি পলিথিন-প্লাস্টিকের।
এসব চিত্র দেখে কি মনে হয়, দেশের পরিবেশ বাঁচাতে পাটপণ্যের মোড়ক ব্যবহারে আইন আছে?
বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক আহমদ খান বলেন, “আমরা মাইক্রো পলিথিন খাচ্ছি, গবেষণায় দেখা গেছে নবজাতকের রক্তে প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে, মায়ের দুধে প্লাস্টিক। এখন ঢাকা শহরে বৃষ্টির নামার সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এর ৬০ শতাংশ দায়ী এই পলিথিন।”
পলিথিনের জায়গাটা পুরোপুরি পাটের তৈরি ব্যাগের দখলেই থাকতে পারতো, যদি আইনটি আলোর মুখ দেখতো।
ড. মোবারক আহমদ খান বলেন, “পাটের ঐতিহ্য হারায়নি। পাটের গুণাগুণ উন্নতি করতে পারলেই পলিথিনের জায়গা দখল করতে পারতো।”
পুনঃব্যবহারযোগ্য পাটের এসব ব্যাগ যে কত বৈচিত্র্যপূর্ণ তার উদাহরণ এই পাটকল। কিন্তু, পরিতাপের বিষয় দেশের মানুষ ব্যবহার না করায় এসব রপ্তানী হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে।
বাংলাদেশ জুট মিসল এসোসিয়েশন সচিব বাবুল চন্দ্র রয় বলেন, “প্রতিটনে ২০টা ব্যাগ লাগে, ৪ কোটি টন খাদ্যদ্রব্য প্যাকেজিং করতে গেলে ৮০ কোটি ব্যাগ লাগবে। এটা শুধু চাল ও গমের জন্য, এর বাইরে মরিচ, হলুদ, ডাল ও অন্যান্য মালামাল রয়েছে।”
প্লাস্টিকের রমরমা ব্যবসা বন্ধ আর বিকল্প সহজলভ্য খোঁজাতেই সমাধান দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ
আরও পড়ুন