ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

করো মুখাপেক্ষী নয়, দেশকে নিজেদেরই গড়তে হবে: প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫৯, ২৩ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ১৫:০২, ২৩ মার্চ ২০২৩

যারা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছেন, তাদের ত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, করো মুখাপেক্ষী হয়ে নয়, নিজের দেশকে নিজেদেরই গড়ে তুলতে হবে। 

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নয়ন অব্যাহত আছে। খুব শীঘ্রই দারিদ্র্যের হার আরও কমার সুখবর আসছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য আত্মত্যাগে যারা চিরস্মরণীয় তাঁরা আজও ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন জনকল্যাণে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে একটানা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। ’৭৫ সাল থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকতে পারেনি। রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা থাকতে পারেনি। কাজেই বাংলাদেশ সেভাবে এগোতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পর করোনার ধাক্কা, এরপর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে। আমরা যা করছি সব পরিকল্পিতভাবে করছি। আমাদের সরকার সবসময় গবেষণায় জোর দিচ্ছে। বিষয়ভিত্তিক গবেষণায় আমরা জোর দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শোষিত বঞ্চিত ও দারিদ্র মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর দেখানো  পথেই দেশের উন্নয়ন গতি ত্বরান্বিত রয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, যারা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, তাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়। তিনি বলেন,অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কারও মুখাপেক্ষী হবে না বাংলাদেশ।

নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে তখন বলেছিলেন বাংলাদেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব না। কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করেছি। আমরা বলেছিলাম নিজেদের টাকায় সেতু করব। বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে বলেছিলেন কেউ দাবাইয়া রাখতে পারবে না। আমরা পদ্মা সেতু করে দেখিয়ে দিয়েছি বাংলাদেশ পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলার পর বিশ্ব পরিস্থিতি সামলেও অর্থনীতির চাকা সচল রযেছে। জানান, আসন্ন রমজানে দেশের মানুষের কষ্ট লাঘবে চেষ্টা করছে সরকার। 

গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সকলের সম্মিলিত পদক্ষেপ থাকবে, আশা করেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রতি বছরের মতো এবারও সেই সকল বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান করলো রাষ্ট্র। এ বছর ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা পুরস্কার। ৬টি ক্যাটাগরির মধ্যে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য দেয়া হয়েছে ৪ জনকে। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে পেয়েছেন ১ জন করে। গবেষণা ও প্রশিক্ষণে পেয়েছেন দুজন। আর সমাজ সেবায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেয়া হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, জাতীয় সংসদ সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী এবং দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি