ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

আদালত থেকে ছিনিয়ে নেয়া জঙ্গিরা দেশেই আছেন: সিটিটিসি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:০৭, ৮ এপ্রিল ২০২৩

ঢাকার আদালত চত্বর থেকে ছিনিয়ে নেয়া জঙ্গিরা দেশেই আছেন বলে জানিয়েছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। 

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল সমন্বয়ক ফাতিয়া তাসনিম শিখা (৩১) ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার হুসনাকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। ফাতিয়া তাসনিম শিখা পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী।

শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসির) মো. আসাদুজ্জামান।

আসাদুজ্জামান বলেন, গত ২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪) ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে (৩৪) ছিনিয়ে নেয়া হয়। আনসার আল ইসলামের নেতৃত্ব পর্যায়ের সিদ্ধান্তে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১০-১২ জন সদস্য এ জঙ্গি ছিনতাইয়ে অংশ নেয়। চার জঙ্গিকেই ছিনিয়ে নেয়ার পরিরিকল্পনা থাকলেও তারা দুজনকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। ছিনিয়ে নেয়া ২ জঙ্গিসহ একটি গ্রুপ চলে যায় সদরঘাটে। সেখান থেকে তারা একটি ‘আনসার হাউজে’ গিয়ে অবস্থান নেয়। আনসার আল ইসলামের সেফ হাউজকে সাংগঠনিক ভাষায় আনসার হাউজ বলা হয়।

তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের ৬ মাস আগে তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুয়া এনআইডি ও ভুয়া পরিচয়ে একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। নেতৃত্বপর্যায়ে নির্দেশে সংগঠনের আশকারি বিভাগের প্রধান আয়মানের নেতৃত্বে তারা সেখানে মিটিং করে। শিখা ময়মনসিংহ থেকে এসে বৈঠকে অংশ নিতেন।

বৈঠকের সব সিদ্ধান্ত জেলখানায় থাকা জঙ্গি সোহেলকে দিতেন শিখা। স্ত্রী পরিচয়ে দেখা করার সুযোগেই তিনি সংগঠনের তথ্য ও তাদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিরিকল্পনা জানাতেন।

ঘটনার আগে ১ নভেম্বর শিখা, আয়মানসহ ছিনতাই অপারেশনে অংশ নেয়া প্রত্যেকে আদালত প্রাঙ্গণে এসে পুরো এলাকা রেকি করেন। তারা কোন পথে পালাবেন, ছিনতাইয়ে ব্যার্থ হলে কী করবেন সেসব পুরো এলাকা রেকি করে নির্ধারণ করেন।

২০ নভেম্বর ঘটনার দিন আয়মান ও শিখা ঘটনাস্থলে থেকে পুরো ছিনতাই ঘটনা মনিটরিং করেন। ছিনতাই হওয়া ২ জঙ্গিকে নিয়ে প্রথমে সদরঘাট যায়। সেখান থেকে তারা পূর্ব নির্ধারিত আনসার হাউজে গিয়ে অবস্থান নেয়। আয়মান ও শিখাসহ বাকিরা অন্যপথে গিয়ে সেই আনসার হাউজে গিয়ে মিলিত হয়।

আসাদুজ্জামান বলেন, শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ থেকে শিখার আশ্রয়দাতা হুসনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গভীর রাতে রূপগঞ্জের একটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে ২ জঙ্গিকে পাওয়া যায়নি, তবে আমরা সেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলাতক ২ জঙ্গি দেশেই আছেন। আশা করছি শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি