সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পেল শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প
প্রকাশিত : ১৫:১০, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণীত ও বাস্তবায়িত আশ্রয়ণ প্রকল্প সৃজনশীল কর্মের স্বীকৃতি পেয়েছে। এর স্বত্বাধিকার দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস গত সোমবার এ সংক্রান্ত সনদ প্রদান করে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান।
কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন সনদে সৃজনশীল কর্মের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘আশ্রয়ণ: অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল’। এই সৃজনশীল কর্মের প্রণেতা এবং স্বত্বাধিকারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে আশ্রয়ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। এ আশ্রয়ণের মূল লক্ষ্য, মানুষের দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জীবনমানের উন্নয়ন এবং মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি ২৮ লাখ মানুষকে পুনর্বাসিত করেছেন।
মুখ্যসচিব বলেন, বাংলাদেশে কপিরাইট অফিস আছে। তারা সার্টিফিকেট ও কপিরাইট প্রদান করে। আশ্রয়ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার আগে প্রধানমন্ত্রীর একটি ধারণা তৈরি করতে হয়েছে। এই ধারণাটিরই একটি শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘আশ্রয়ণ : অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল’। প্রধানমন্ত্রীর এই ধারণাকে সৃজনশীল কর্ম হিসেবে তারা স্বীকৃতি দিয়েছে।
মুখ্যসচিব আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখন থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন ধরনের লেখা লিখেছেন, বক্তব্য দিয়েছেন। আশ্রয়ণ নিয়ে তার যে ধারণা সেটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আটটি লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রম করেছে। তাঁর (শেখ হাসিনা) এ ধারণাটিই একটি মৌলিক ধারণা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নানা উদ্যোগ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয়ণে ঘর পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ দূরদর্শী কাজের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র মানুষের জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পেশাগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, পুষ্টিসহ সকল ক্ষেত্রে আশ্রয়ণের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের কারণে আমরা মনে করি সর্বশেষ যে রাষ্ট্রীয় সমীক্ষা, যেখানে চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে জনসংখ্যা শতকরা দশভাগ থেকে ৫ দশমিক ৮ এ নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, আশ্রয়ণ শুধু একটি ঘর নয়। সেখানে মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই যেমন পেয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্য পরিষেবাও পাচ্ছে, স্যানিটেশন পাচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এমএম/
আরও পড়ুন