‘গণতন্ত্রের ধারা আছে বলেই উন্নয়নশীল দেশের পথে বাংলাদেশ’
প্রকাশিত : ১২:১৫, ২২ এপ্রিল ২০২৩
স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও দুর্নীতিবাজরা ক্ষমতায় আসলে দেশ তছনছ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বস্তরের মানুষের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বলেন, মায়ের মন নিয়ে দেশ সেবা করছেন তিনি। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতা আছে বলেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের পথে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় কালে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানের যে চেষ্টা, যা আমি বাবার কাছ থেকে শিখেছি, তা আমি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেহেতু আমি আমার বাবা-মা-ভাইকে হারিয়েছে, তাই বাংলার মানুষের মাঝেই আমি তাদের খুঁজে পাই। আমার ব্যক্তিগত জীবনের কোনো চাহিদা নেই।
তিনি বলেন, আমার প্রেরণা আমার বাবা। বাংলার মানুষের জন্য বাবা যেভাবে কষ্ট করেছেন, সেভাবে ত্যাগ স্বীকার করতে আমিও প্রস্তুত আছি। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে কিছু না।
বক্তৃতায় উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বাংলাদেশে যেন আর দুঃশাসন ফিরে না আসে সেই আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি জামাত জোটের অগ্নিসন্ত্রাস ও সহিসংতার কথা তুলে ধরে সাম্প্রতিক অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেন সরকার প্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রথমে দুর্ঘটনা মনে হয়। কিন্তু একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিসন্ত্রাসীদের চক্রান্ত আছে কি না তা ভাবতে হবে। সবাইকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারী কিংবা যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও দারিদ্রের হার কমেছে, অর্থনীতিও সচল আছে। এই অগ্রযাত্রায় ধারাবাহিকতা রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে বিশ্বজুড়ে যখন মুদ্রাস্ফীতি তখন দারিদ্র্যের হার কমিয়েছি। মানুষের জীবনে যেন স্থিতিশীলতা আসে সেজন্য গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার মত কাজ করে যাচ্ছে সরকার। পদ্মা সেতুর কারণে ঈদযাত্রা সহজ হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করা যাচ্ছে, উৎপাদন কাজে লাগানো যাচ্ছে ও সহজে পরিবহন করা যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যমূল্য বেড়ে গেছে, অনেক উন্নত দেশ খাদ্য রেশন করে দিচ্ছে, অর্থাৎ পরিমাণের বেশি কিনতে পারবেন না বলা হচ্ছে। বাংলাদেশে কিন্তু সে অবস্থা নেই। তারপরও আমি বলব, যার যেখানে জমি আছে, যতটুকু সম্ভব যেন চাষ করেন। অন্ততপক্ষে যেন নিজেদের খাবার দাবার উৎপাদন করা যায়।
এএইচ
আরও পড়ুন