ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি
প্রকাশিত : ০৯:৪৩, ৩০ জুন ২০২৩
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পশু কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। শুক্রবার (৩০ জুন) ফজরের নামাজ পর পরই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি শুরু হয়। মূলত, ঈদের দিন ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই পশু জবাই দেননি। তাই, দ্বিতীয় দিনে অনেকেই পশু কোরবানি দিচ্ছেন।
ইসলামের বিধি মোতাবেক, ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত পশু কোরবানি দেওয়া যায়।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের দ্বিতীয় দিন সকালে পশু কোরবানি দিচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে, আবার অনেকে ঈদের দিন কসাই না পাওয়ায় কোরবানি করতে পারেননি। তাই দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দিচ্ছেন তারা। পাড়া-মহল্লার অলিগলি, বাসার নিচের গ্যারেজে, প্রধান সড়কে পছন্দের গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া, দুম্বা কোরবানি করছেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা।
দ্বিতীয় দিনে একাধিক কোরবানিদাতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথমদিন সবাই কোরবানি করেন, তাই কসাই পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে তারা দ্বিতীয় দিনে পশু কোরবানি করেন।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিন ভোর থেকেই ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির মধ্যেই নামাজ আদায় করেছি। ভেবেছি নামাজ শেষ হওয়ার পর বৃষ্টি থামবে। কিন্তু বৃষ্টি না থামায় দুপুরে সিদ্ধান্ত নেই আজ আর পশু জবাই দিব না। তাই আজকে কোরবানি করছি।
ঈদের দিন গরু কিনেছেন তাই সেদিন কোরবানি দিতে পারেননি। তাই আজ কোরবানি দিচ্ছি বলে জানালেন শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা অলিউর রহমান।
তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন গরু কিনতে পারেনি। ঈদের দিন গরু কিনে বাড়ি ফিরতে ভোর হয়ে গেছে। কসাই ঠিক করতে পারিনি। তাই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি।
মালিবাগের টিপু সুলতান জানান, আমরা সবসময় ঈদের দ্বিতীয় দিনেই কোরবানি দিয়ে থাকি। তবে, আজ জুমার দিন হওয়ার ফজরের পরেই পশু জবাই দেওয়া হয়। সাড়ে ১২টায় আযান হয়ে যায়। তাই দ্রুত সবকিছু শেষ করে নামাজের প্রস্তুতি নেব।
শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা মিলন জানান, গত দুইদিন ধরেই রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের দিন বৃষ্টি হবে আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই জানিয়েছিল। তাই, আগে থেকেই সিদ্ধান্ত ছিল ঈদের দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি করব।
এদিকে, কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করার এবং নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
এমএম//
আরও পড়ুন