ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ঢাবি বঙ্গবন্ধুকে যে সম্মাননাপত্র দিতে পারেনি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:২৬, ১৫ আগস্ট ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে সুপরিচিত ছাত্রদের মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৬১ বছর আগে বহিষ্কার করে যে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ করেছির তা ২০১০ সালের ১৪ আগস্ট সংশোধন করলেও প্রথিতযশা এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এই মহান নেতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মান জানাতে পারেনি। 

ঢাবি কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুকে প্রদানের জন্য একটি মানপত্রও প্রস্তুত করেছিল। এ লক্ষ্যে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই সেদিন ভোররাতে বঙ্গবন্ধু তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যর সাথে শাহদাৎ বরণ করায় তা আর সম্ভব হয়নি। 

শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকে তৎকালীন উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন চৌধুরীর এই মানপত্রটি প্রদান করা কথা ছিল।

ঢাবি ক্যাম্পাসের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র (টিএসসি)-তে ওই অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন চ্যান্সেলর বঙ্গবন্ধুর এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সামনে বক্তব্য রাখার ও তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা ছিল।
২০০৯ সালের ২ ডিসেম্বর ঘটনাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের একটি কক্ষ থেকে ঐতিহাসিক মানপত্রটির সন্ধান পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ডেপুটি রেজিষ্ট্রার মো. আমির হোসেন কক্ষটিতে কিছু অফিসিয়াল নথি খুঁজতে গিয়ে মানপত্রটি দেখতে পান। ওই কক্ষে পুরানো কাগজপত্র এবং নথি সংরক্ষিত ছিল। 

তৎকালিন ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাসসকে বলেন, ‘আমির হোসেন আমার কাছে হাতে লেখা ও কাঠের ফ্রেমে বাঁধানো উদ্ধৃতিটি তুলে দেন। এটি এখন নতুন প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।’ 
নথি হস্তান্তরের সময় তার কেমন প্রতিক্রিয়া হয়েছিল জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. আরেফিন বলেন, ‘ওটা হাতে নিয়ে আমি বিস্ময়াভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম।’

তিনি আরো বলেন, অধ্যাপক মতিন চৌধুরী চারুকলা অনুষদের শিক্ষকদের দিয়ে হাতে লেখা মানপত্রটি প্রস্তুত করেছিলেন। কিন্তু এটা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন চ্যান্সেলর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সুপরিচিত ছাত্র শেখ মুজিবকে প্রদান করা হয়নি।

ড. আরেফিন আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানানোর জন্য সবকিছু প্রস্তুত ছিল। কিন্তু যখন ওই হত্যাকা-ের খবরটি এল, তখন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই এতটাই স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল- যে কেউ একজন তখন ভয়ে বা ইচ্ছাকৃতভাবে মানপত্রটি লুকিয়ে রেখেছিলেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আন্দোলনে ভূমিকা রাখায় শেখ মুজিবকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের ছয় দশক পর ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর ৩৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে বহিষ্কারের আদেশটিকে ‘অগণতান্ত্রিক ও অন্যায়’ অভিহিত করে বহিষ্কারের আদেশটি প্রত্যাহার করে। 
১৯৪৯ সালের ২৬ মার্চ তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে বহিষ্কার করেছিল। বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের জন্য কিছু শর্ত জারি করা হয়েছিল। কিন্তু, তৎকালীন ঢাবি’র আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বঙ্গবন্ধু সেই শর্ত মেনে নেননি। কারণ তিনি ছিলেন একজন অবিসংবাদিত নেতা এবং সর্বদা দৃঢ় কণ্ঠে যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন।
অধ্যাপক আরেফিন বলেন, বহিষ্কারাদেশটি প্রত্যাহারের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানটির ৬১ বছর আগের একটি ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্তের সংশোধন করেছে।”

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ঢাবি’র মনোগ্রাম লেখা দুটি রূপার ক্রেস্ট ও একটি কাসকেটও দেয়ার কথা ছিল। মানপত্রটি পাওয়ার কয়েকদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের একটি সেফ থেকে সেগুলো পাওয়া গেছে। 
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালে এগুলো স্মারক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করে। এগুলো এখন প্রদর্শনের জন্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে রাখা হয়েছে- যা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের সাক্ষ্য বহন করে। এই বাড়িতে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
অধ্যাপক আরেফিন আরো বলেন, ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্য একটি বিশেষ চেয়ার আনা হয়েছিল। ২০১৬ সালের আগ পর্যন্ত সেই চেয়ারটি সম্পর্কে কেউ জানতো না। ২০১৬ সালে ঢাবি শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ড. মহিউজ্জামান চৌধুরী কেন্দ্রের একটি স্টোররুমে এটির সন্ধান পান।
তিনি বলেন, পরে তিনি এটি সংস্কার করেন এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টিএসসিতে প্রদর্শনীর জন্য এটি রেখে দেয়।  
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি ও শিক্ষার্থীদের উৎসাহ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ড. আরেফিন বলেন, তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এমএ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে বরণ করে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি চ্যান্সেলর হিসেবে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর এই প্রথমবারের মতো সেখানে আসার কথা ছিল। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অধীর আগ্রহের সাথে অনুষ্ঠানটির জন্য অপেক্ষা করছিল।’
১৪ আগস্ট বিকেল চারটা কি সাড়ে চারটার দিকে আমি আমার কয়েকজন সহপাঠীর সাথে আমার অনুষদ থেকে আর্টস ফ্যাকাল্টি ভবনের দক্ষিণ গেটের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় আমি উৎফুল্ল শেখ কামালকে তাঁর বন্ধুদের সাথে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের করিডর থেকে আসতে দেখি। আমি ভেবেছিলাম সমাজবিজ্ঞান বিভাগে একটি নৃতত্ত্ব জাদুঘর করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সেখানে যাবার কথা ছিল। তাই সম্ভবত তারা এর প্রস্তুতি দেখে ফিরছিলেন। এটাই ছিল শেখ কামালকে আমার শেষ দেখা।’ 
১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানসূচি সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর আরেফিন সিদ্দিক বলেন, টিএসসিতে বক্তৃতা প্রদানের আগে বঙ্গবন্ধুর কয়েকটি অবকাঠামো ও বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করার কথা ছিল। 
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর আরেফিন আরো বলেন, ক্যাম্পাস ছাড়ার আগে বন্ধুবন্ধুর ভিসি’র অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের সাথে তাঁর হালকা খাবার খাওয়ার কথা ছিল।
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো প্রতিষ্ঠানটির কোন চ্যান্সেলরকে স্বাগত জানাতে ঢাবি ছিল সম্পূর্ণ প্রস্তুত। প্রতিষ্ঠানটির সর্বত্র উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। 
কিন্তু সে শুভক্ষণ অনুষ্ঠানটি আর হয়নি। কারণ তার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেই বাংলাদেশের জাতির পিতাকে তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সাথে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য যে সম্মাননাপত্র পাঠ করার কথা ছিল সেটি তুলে ধরা হলো: 
‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় চ্যান্সেলর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য সম্মাননাপত্রটি নিম্নরূপ। "
মাননীয় চ্যান্সেলর,
আমরা আনন্দিত যে আপনি প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন এর মাননীয় চ্যান্সেলর হিসাবে। আমরা গর্বিত যে আপনি হচ্ছেন প্রথম চ্যান্সেলর যিনি ৫৪ বছরের ইতিহাসে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এসেছেন। আমরা আপনাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।
আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ঐতিহ্য এবং ছাত্রদের গণআন্দোলনে এর অবদান সম্পর্কে জানেন। এই শুভদিনে আমরা যথাযথ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সেই সব শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রদের যারা আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং অন্যান্য সকল সংগ্রামে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আপনার সদয় সাহায্যের জন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।
মাননীয় চ্যান্সেলর,
সারাদেশে আপনার নেতৃত্বে দ্বিতীয় বিপ্লব শুরু হয়েছে। আমরা এই দ্বিতীয় যুগান্তকারী বিপ্লব শুরু করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বিপ্লবের মতো এই দ্বিতীয় বিপ্লবকে সমর্থন ও বাস্তবায়িত করবে। বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার আগমন সত্যিই একটি স্মরণীয় ঘটনা।
মাননীয় চ্যান্সেলর,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো আপনি জানেন। সমস্যাগুলো সম্পর্কে আবার বলার দরকার নেই। আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা তো রয়েছেই ও সবগুলোই সমাধান করা যাবে না। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সাহসের সাথে সমস্যার মোকাবেলা করা এবং সেগুলো সমাধানের চেষ্টাই হচ্ছে উন্নয়নের প্রধান লক্ষণ। স্বাধীনতার আগে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭,০০০ শিক্ষার্থী ছিল এবং এখন ১৫,০০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। ফলে, আমাদের এখন আবাসন, শ্রেণিকক্ষের সমস্যায় পড়তে হয়, সেমিনার ও লাইব্রেরিতে সম্পদের অভাব ইত্যাদিসহ শিক্ষক ও কর্মচারীদেরও কিছু সমস্যা আছে। আমরা জানি রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান হতে পারে না। সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে। এই বাস্তবতা সত্ত্বেও, আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচীনতম, বৃহত্তম এবং জনগণের মতে বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো নিয়ে এর আগেও অনেকবার আপনার সাথে আলোচনা করেছি। আপনি বলেছিলেন যে, আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চান। আমরা এই বিষয়ে আপনার সদয় সহানুভূতি, সদিচ্ছা এবং বিবেচনা কামনা করছি।
মাননীয় চ্যান্সেলর,
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চিরন্তন নয়। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব থাকবে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে। আর আমরা বিশ্বাস করি, এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ভবিষ্যত এবং জীবনধারা নির্ধারণ করবে। সুতরাং, আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আপনার, আপনার সরকারের এবং বাংলাদেশের জনগণের বিশেষ বিবেচনা আশা করি।
মাননীয় চ্যান্সেলর,
আপনার ব্যস্ত কর্মসূচী থাকা সত্ত্বেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার আগমনের জন্য আমরা শিক্ষক, প্রশাসন ও কর্মচারীরদের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এই বিশ্ববিদ্যালয় আপনার, আমার এবং আমাদের। আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা আপনার ঘোষিত দ্বিতীয় বিপ্লব বাস্তবায়িত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করব। দ্বিতীয় বিপ্লবের সাফল্যের জন্য আমরা সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করি, কারণ এর কোনো বিকল্প নেই।
দ্বিতীয় বিপ্লবই হচ্ছে বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ। আমরা আবারও আপনার প্রতি আমাদের আনুগত্য ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘ জীবনের জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করছি। 
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, এবং জয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আগস্ট ১৫, ১৯৭৫
আপনার অনুগত,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে
আব্দুল মতিন চৌধুরী
উপাচার্য

কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি