এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ওঠানামায় রয়েছে ১৫ র্যাম্প
প্রকাশিত : ০৮:৫৫, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন আজ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে থেকে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত রোববার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এ পথের দূরত্ব সাড়ে ১১ কিলোমিটার, এর মধ্যে র্যাম্প রয়েছে ১৫টি।
যার মধ্যে বিমানবন্দরে দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি এবং ফার্মগেটে একটি। এর মধ্যে ১৩টি র্যাম্প প্রাথমিকভাবে যান চলাচলের জন্য রোববার উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার জন্য এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার পথ রয়েছে দুটি। প্রথমটি বিজয় সরণি ফ্লাইওভার দিয়ে। এ ফ্লাইওভারটি এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরে যেতে চাইলে বনানী রেল স্টেশনের সামনের র্যাম্পটিও ব্যবহার করা যাবে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল, কামাল আতার্তুক এভিনিউ, কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে রয়েছে নামার পথ।
অন্যদিকে যেসব যানবাহন বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেটের দিকে আসবে সেগুলো কাওলা, প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব এলাকা থেকে উঠতে পারবে। নামার পথ রয়েছে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, মহাখালী বাস টার্মিনাল ও ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে।
যানজটযুক্ত রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেটের পথে চলার গতি যেখানে গড়ে ১০ কিলোমিটারেরও কম, সেখানে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ৬০ কিলোমিটার গতিতে এ সাড়ে ১১ কিলোমিটার পাড়ি দিতে সময় লাগবে ১০ মিনিট।
ব্যক্তিগত গাড়ি কিংবা মিনিবাস যখন এলিভেটেড অংশে চলে যাবে তখন নিচের পথের চিরচেনা যানজটের দৃশ্য হয়তো অনেকটাই বদলে যাবে। এক্সপ্রেসওয়েটি ব্যবহার করলে বনানী, মহাখালী, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় সরণির ভয়াবহ যানজট থেকে মুক্তি মিলবে এ পথের যাত্রীদের। যান চলাচলের দিন থেকে এ পথে কর্মঘণ্টারও অপচয় কমে আসবে নগরবাসীর। আবার সাশ্রয় হবে ধুঁকে ধুঁকে চলতে থাকা বাহনের জ্বালানি।
রাজধানীকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (কুতুবখালী) সঙ্গে যুক্ত করবে এক্সপ্রেসওয়েটি। সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে (পিপিপি) তিন ধাপে উড়ালসড়ক প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেল ক্রসিং পর্যন্ত। আর তৃতীয় ধাপে মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত।
প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি। অবশেষে আলোর মুখ দেখতে চলেছে এর একাংশ। এ প্রকল্পের নির্মাণকাল ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।
এএইচ
আরও পড়ুন