ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যুক্তরাষ্ট্রে সেমিনারে বিশিষ্টজনেরা

‘বাংলাদেশের অর্থনীতির রূপান্তরের গল্প আসলেই চমকপ্রদ’

কাজী ইফতেখারুল আলম তারেক, যুক্তরাষ্ট্র থেকে 

প্রকাশিত : ১০:৩৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১০:৩৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথপরিক্রমার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বক্তারা। 

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অসাধারণ রূপান্তরের গল্পটি আসলেই চমকপ্রদ। শুরুটা ছিল দারুণ চ্যালেঞ্জিং। মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশ ছিল এক ধ্বংসস্তূপ।

বলা চলে শূন্য হাতেই বাংলাদেশ তার উন্নয়ন অভিযাত্রা শুরু করেছিল। সেখান থেকেই এক অসাধারণ উন্নয়নের পথে হেঁটে এসেছে বাংলাদেশ। ‘বাংলাদেশ ইকোনমি অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক এই সেমিনার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকালে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে। বিশ্বের স্বনামখ্যাত শিক্ষাবিদ ও স্কলাররা এতে অংশ নেন।

বলা চলে শূন্য হাতেই বাংলাদেশ তার উন্নয়ন অভিযাত্রা শুরু করেছিল। সেখান থেকেই এক অসাধারণ উন্নয়নের পথে হেঁটে এসেছে বাংলাদেশ। ‘বাংলাদেশ ইকোনমি অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক এই সেমিনার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকালে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে। বিশ্বের স্বনামখ্যাত শিক্ষাবিদ ও স্কলাররা এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের সভাপত্বিতে এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। 

মূূল বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। 

এতে সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. বিরূপাক্ষ পাল।

আলোচক প্যানেলে ছিলেন জাতিসংঘের ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ টিমের সাবেক প্রধান ড. নজরুল ইসলাম, কলোরাডো ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ফরিদা খান, পরিবেশ ও পানিবিজ্ঞানী ড. সুফিয়ান এ খন্দকার, মনমাউথ ইউনিভার্সিটির ডক্টর অব সোশ্যাল প্রোগ্রামের ডিরেক্টর অধ্যাপক গোলাম এম মাতবর, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মাইকেল স্টেকলার।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন স্টেট সিনেটর শেখ রহমান, স্টেট সিনেটর মো. মাসুদুর রহমান, স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল বি খান ও মেলবোর্ন শহরের মেয়র মাহবুবুল আলম তৈয়ব। 

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের বড় সম্পদ ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্দীপনামূলক নান্দনিক নেতৃত্ব। জাতিকে দেওয়া এই নেতৃত্বের লড়াকু মনই বাংলাদেশকে টেনে তুলে দেয় উন্নয়নের মহাসড়কে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বড় কোনো ভুল-কৌশল বাংলাদেশ গ্রহণ করেনি। 

নিউ হ্যাম্পশায়ারের মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য আবুল বি খান বলেন, ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন আইনপ্রণেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছি।

বাংলাদেশের সঙ্গে আমার যোগাযোগ অব্যাহত আছে এবং আমি অনেকবার বাংলাদেশ সফর করেছি। ৪৩ বছর আগে দেশ ছেড়ে আসার পর থেকে বাংলাদেশ এখন যে পর্যায়ে উঠে এসেছে সেটি সত্যিই অসাধারণ। এটি ছিল একটি দীর্ঘ পথ। যেটি রাতারাতি ঘটেনি।

খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন, ক্ষুদ্রশিল্পের উন্নয়ন, উদ্যোক্তা বৃদ্ধি এবং নতুন ধারণার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বড় অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে অবকাঠামোগত বিশাল উন্নয়ন হয়েছে, যা কৃষি ও খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। কিছু বড় প্রকল্পের কাজ এরই মধ্যে প্রায় শেষ বা সমাপ্তির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে এসে পৌঁছেছে তা বোঝাতে আমাদের সম্প্রদায় ও নীতিনির্ধারকরা খুবই সহায়ক ভূমিকা রাখবেন। বাংলাদেশ আর তথাকথিত সেই ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ নয়। আমরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এ তকমা ঝেড়ে ফেলেছি।
কেআই/এসবি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি