ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফিলিস্তিনে ওষুধ পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৪, ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | আপডেট: ০৮:৩৭, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

ফিলিস্তিনের হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলায় হতাহত হাজারো অসুস্থ অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সেবা ও জরুরি ওষুধ সামগ্রী পাঠাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেককে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বুধবার বিকালে টেলিফোনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 

সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত “শেখ রাসেল দিবস-২০২৩” উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান মন্ত্রী।

ফিলিস্তিনে ওষুধ সামগ্রী প্রেরণ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের জনগণের কষ্ট বোঝেন, ইসরায়েলের হামলায় হতাহত নারী-শিশুদের বেদনা অনুভব করছেন তিনি তার নিজের জীবনের হতাহতের ক্ষত থেকে। শিশু রাসেলের হত্যার যে কী বেদনা,  প্রধানমন্ত্রী সেটি বোঝেন। এজন্যই বিশ্ব পরাশক্তির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও তিনি ফিলিস্তিনের নিরিহ অসহায় মানুষের জন্য কথা বলছেন, তাদের চিকিৎসা সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় উপস্থিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অতি দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ফিলিস্তিনের আহত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে চাই। এক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে ওষুধ সামগ্রী পাঠাতে আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে সম্ভব সব চেষ্টাই করতে হবে।’

শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরও বলেন, "রাসেলের হত্যাকারী ঘাতকরা পৈশাচিক মানসিকতার মানুষ। তারা নিষ্ঠুর, ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট। পৃথিবীর অনেক দেশেই অনেক রাষ্ট্রপ্রধানদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসের কোথাও সপরিবারে হত্যার নজির দেখা যায়নি। এই হত্যাকান্ড একটি প্রতিশোধের হত্যাকাণ্ড। ৭৫ ও ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের হোতারা একই। এই হত্যাকান্ডে অবশ্যই জামায়াত-বিএনপি’র পূর্বসূরিদের হাত ছিল। কারণ, জামায়াত-বিএনপি'র পূর্বসূরিদের স্বার্থই স্পষ্ট হয়েছে এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে।"

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা কেবলই একটি নিছক হত্যাকাণ্ড নয়, এটি ছিল জাতির ভবিষ্যত মেরুদণ্ডকে ভেঙে দিতে একটি পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞ। মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতদের পরাজয়ের শোধ নিতে অত্যন্ত ঘৃণ্য ও ধিকৃত উপায়ে কাপুরুষোচিত উপায়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ঘাতকরা কেবল জাতির পিতা এবং নারীদের হত্যা করেই থামেনি, হত্যাকাণ্ডের দিন ছোট্ট শিশু রাসেল যখন মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল, তখন ঘাতকরা সেই ছোট্ট শিশু রাসেলকে হত্যা করতে তারা পিছপা হয়নি।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্মসচিববৃন্দ।

সভায় দেশের আগামী শিশুদের রাসেলের মত করে গড়ে তুলতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি