ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

`ব্রাসেলস সফরে বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে`

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১১, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণে বেলজিয়াম সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ব্রাসেলসে আমার সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কানেকটিভিটি, শিক্ষা ও গবেষণা, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনে বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক প্রথমবারের মতো আয়োজিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য ব্রাসেলস সফর বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সংবাদ আসেন প্রধানমন্ত্রী। গত ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস সফর করেন সরকারপ্রধান।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ড্যর লেভার এর আমন্ত্রণে এই ফোরামে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার সফরসঙ্গী ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী জানান, সফরের প্রথম দিন ২৫ অক্টোবর সকালে আমার হোটেল স্যুইটে ইউরোপীয় কমিশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপীয় ট্রেড কমিশনার মি. ভালদিস দোমরোভসকিস সঙ্গে তার বৈঠক হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈঠকে আমরা বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারত্বের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করি এবং আগামীতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করি। আমি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভরিথিং বাট আর্মস-এর আওতায় বাণিজ্য সুবিধা প্রদানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অবরোধ ও পাল্টা অবরোধের কারণে অর্থনৈতিক অভিঘাত বিবেচনায় নিয়ে আমি বাংলাদেশসহ অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী তিন বছরের পরিবর্তে ছয় বছরের জন্য বাণিজ্য সুবিধা ২০০২ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানাই। একইসঙ্গে পরবর্তী ধাপে বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা প্রদানেরও অনুরোধ জানাই।’

‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা বিশেষ করে বিনিয়োগ সুবিধা তুলে ধরে আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই। ইউরোপীয় ট্রেড কমিশনার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী বাণিজ্য সুবিধার বিষয়ে আরও আলোচনার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।’

এরপর ইউরোপীয় কমিশন কার্যালয়ে কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলার সঙ্গে আমার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানান। বৈঠকে আমরা বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ৫০ বছরের ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ঘোষণা দিই এবং এ লক্ষ্যে শিগগির দু'পক্ষের মধ্যে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কোঅপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট-এর আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।’

‘ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভরিথিং বাট আর্মসের আওতায় বাণিজ্য সুবিধার অবদান তুলে ধরেন। বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহুমুখী সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও, গ্লোবাল গেটওয়ে-এর আওতায় দু'পক্ষের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কানেকটিভিটিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কৌশলগত বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয়ান ইনভেস্ট ব্যাংক এবং ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৪৭৭ মিলিয়ন ইউরোর কয়েকটি ঋণ সহায়তা এবং অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং আমি উপস্থিত ছিলাম।’

‘চুক্তিগুলোর মধ্যে ছিল ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর ঋণ সহায়তা চুক্তি, ইউরোপিয়ান কমিশনের সঙ্গে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিয়োগ ও কারিগরি সহায়তা অনুদান এবং ১২ মিলিয়ন ইউরোর সবুজ জ্বালানি বিষয়ক অনুদান চুক্তি। এসবের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপীয় কমিশনের মধ্যে বাংলাদেশের সামাজিক খাতে ৭০ মিলিয়ন ইউরোর পাঁচটি আলাদা অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট এবং আমি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করি’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের ওপেনিং প্লোনারি সেশনে বক্তব্য দিই। আমি আমার বক্তৃতায় বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরি। গ্লোবাল গেটওয়ে উদ্যোগটি সারাবিশ্বে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও টেকসই বিনিয়োগের একটি সেতুবন্ধ হয়ে উঠবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করি। পাশাপাশি, আমি বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়াটি মসৃণ রাখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য সুবিধা বজায় রাখার আহ্বান জানাই।‘

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে চলমান যুদ্ধ ও সংঘাত নিরসনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য রাষ্ট্রসমূহের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই। কহ প্রতিযোগিতা বন্ধ করে সে অর্থ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ার্নার হয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশের নদী খনন, পানিসম্পদ রক্ষা, ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করে সেচকার্য, রেল ও অন্যান্য কানেকটিভিটি, বাংলাদেশে টিকা উৎপাদন ও গবেষণার জন্য অবকাঠামো নির্মাণ, ফার্মাসিউটিক্যালস ও চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মি নিকোলা বিয়ার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি বিশ্বে চলমান যুদ্ধ ও দ্রুত অবসানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হন। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসাদের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী এবং আমি বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন, আইসিটি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও গ্রিন হাইড্রোজেন, পায়রা বন্দরের কাছে জাহাজ নির্মাণ এবং জাহাজ রিসাইক্লিং অবকাঠামো নির্মাণে দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করি।’

এছাড়া, আমি বাংলাদেশে সম্প্রতি প্রবর্তিত ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিমের অধিকতর উন্নয়নে বেলজিয়ামের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আহ্বান জানালে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

‘এরপর লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটলের সঙ্গে আমার হোটেল সাইটে দ্বিপাক্ষিক হয়। বৈঠকে আমি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের চরাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে লুক্সেমবার্গের উন্নয়ন সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। তাঁকেও আমি বাংলাদেশের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাণিজ্য সুবিধা ২০২৯-এর পরিবর্তে ২০০২ পর্যন্ত বর্ধিত করার জন্য সহযোগিতা চাই।’

এছাড়াও, আমি আমাদের আইসিটি ও নবায়নযোগ্য আলানি থাকে লুক্সেমবার্গের বিনিয়োগের আহ্বান জানাই। লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-লুক্সেমবার্গ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘ব্রাসেলস-এ আমার এ সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব এ সফরকালে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। গ্লোবাল গেটওয়ে-এর আওতায় বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কানেকটিভিটি, শিক্ষা ও গবেষণা, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনে বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। আমার এ সফরের মাধ্যমে বেলজিয়াম এবং লুক্সেমবার্গের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ আরও বিস্তৃতি লাভ করবে বলে আমি আশাবাদী।’

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের আমন্ত্রণে গত ২৪ অক্টোবর ব্রাসেলসে যান শেখ হাসিনা। সফরকালে সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেন। সফর শেষে ২৭ অক্টোবর ঢাকায় ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

গত ২৫ অক্টোবর সকালে তিনি ইসির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ইউরোপীয় কমিশন ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর একটি অনুদান চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও ইসির মধ্যে একটি ১২ মিলিয়ন ইউরোর অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ ছাড়া এই সফরে বাংলাদেশ সরকার এবং ইসি বাংলাদেশের সামাজিক খাতে ৭০ মিলিয়ন ইউরোর পাঁচটি ভিন্ন অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা একই দিন ২৫ অক্টোবর গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেন এবং বক্তৃতা করেন। বিকালে ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ার্নার হোয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। ইউরোপীয় কমিশনের কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জেনেজ লেনারসিক ও কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ জুটা উরপিলাইনেনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সম্মানে উরসুলা ভন ডার লেয়েনের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেন।

২৬ অক্টোবর সকালে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সঙ্গে ও লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গে দুটি পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি। একই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের সমাপনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেন। শেখ হাসিনা পরে বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন।

এ ছাড়াও ২৫ ও ২৬ অক্টোবর টিভি চ্যানেল ‘ইউরো নিউজ’ এবং ‘পলিটিকো’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেয়। বাসস

এমএম//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি